নিজস্ব প্রতিবেদক►
গাইবান্ধায় সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও পরিচ্ছন্নতার পর এবার বাজার তদারকিতে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ (শুক্রবার, ৯ আগস্ট) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থসাউথ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী পৌরসভার পুরাতন বাজার, হকার্স মার্কেট ও বিভিন্ন ফলের দোকানে যান।
এ সময় পণ্যের গুণগত মান যাচাই এবং ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে কিনা সেটির তদারকি করতে দেখা গেছে তাদের। অতিরিক্ত মূল্যে জিনিসপত্র বিক্রি না করার পরামর্শ দেন তারা। এ ছাড়াও প্রতিটি দোকানে মূল্যতালিকা আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হয়। যেসব দোকানে কোনো ত্রুটি দেখা যাচ্ছে সেসব দোকানিকে সতর্ক করছেন তারা।
শিক্ষার্থীরা কাঁচাবাজার, পেঁয়াজ-রসুনসহ মসলার দোকান এবং মাছ,মাংস ও মুরগির দোকানে গিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনের নিয়মকানুন সম্বলিত নির্দেশিকা বিতরণ করেন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ঠেকাতে বাজার মনিটরিংয়ে বেরিয়েছন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সানজিদ হোসেন সোহাম জানান, সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় ভোগান্তির জায়গা হলো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। এইজন্যই আমরা গাইবান্ধা পৌরশহরের পুরাতন বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে মনিটরিংয়ে যাই। আমরা আড়তে, পাইকারি-খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে দ্রব্যের দাম নিয়ে কথা বলি। তারা আমাদের জানিয়েছেন এখন থেকে সীমিত মুনাফায় বিক্রি করবেন তারা।
শিক্ষার্থীদের এমন কাজকে স্বাগত জানিয়েছেন ব্যবসায়িরা। সাধারন মানুষও স্বতঃস্ফূর্তভাবে এতে সহায়তা করছেন।
স্বপন কুমারসহ কয়েকজন বিক্রেতা বলেন আমরা খুচরা বিক্রেতারা সহজে দাম বাড়াতে চাইনা। পাইকারেরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ালে আমাদের আর করার কিছু থাকেনা।
শিক্ষার্থীদের বাজার মনিটরিংয়ের প্রশংসা করে বাজার করতে আসা ময়নুর রহমান বলেন তাদের একাজ অব্যাহত থাকলে বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করে আর দাম বাড়াতে পারবেনা। তারা শিক্ষার্থীদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানায়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন এখন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। এই রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তর সমস্যায় জর্জরিত। আমরা এই রাষ্ট্রের সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাব। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেব।
শিক্ষার্থীদের এসব কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।