নিজস্ব প্রতিবেদক ►
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির নামে গাইবান্ধা সদরের বিভিন্ন এলাকা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন। সেই আন্দোলন সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট চক্রের হোতা গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদের পিয়ন নুরু মিয়া ও তার সহযোগী মুক্তি বেগমের বিরুদ্ধে গত বছর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত সদর, গাইবান্ধায় মামলা দায়ের করেন যা মামলা নং সি আর ৩৭১/২২। আদালত মামলাটির তদন্ত ভার পিবিআই পুলিশকে দিলে তারা দীর্ঘ সময় মামলার যথাযথ তদন্ত করে ঘটনার সত্যতাসহ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মামলায় আদালত সমন জারী করা হয়। সমন পেয়ে আসামিরা হাজির না হলে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন। ওই মামলায় মুক্তি বেগম জামিন নিতে গেলে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত মোঃ আব্দুল মতিন জামিন না মঞ্জুর করে আসামি মুক্তি বেগম জেল হাজতে প্রেরন করার নির্দেশ দেন।
খবর পেয়ে ভুক্তভোগী ও আন্দোলনকারীরা আদালতে উপস্থিত হন। ভুক্তভোগী বাদী শিল্পী আক্তার, ভুক্তভোগী ও আন্দোলনকারী ফিরোজা, ছুরুতন, রহিমা বেগমসহ বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সাধারণ স¤পাদক নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী সহ অন্যান্যরা উল্লাস প্রকাশ করেন।
তারা টাকা উদ্ধারে আদালতের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করবেন বলে প্রত্যাশা করেন। সেইসাথে নেতৃবৃন্দ বলেন, যতক্ষণ না টাকা উদ্ধার ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত না হয় ততক্ষন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।