নিজস্ব প্রতিবেদক ►
গাইবান্ধার শতবর্ষী পাবলিক লাইব্রেরী এন্ড কাবে শনিবার আননন্দমূখর পরিবেশে উদ্বোধণ করা হল ‘শুভসংঘ কথা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন কর্ণার’। চমৎকার করে সাজানো বুকসেলফের সামনে অতিথি ও শুভ সংঘের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বর্ণালী কাগজের ফুলঝুরি ছড়িয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক উপসচিব মো. শরিফুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত সকলের উল্লাসধ্বণীতে এক ভিন্ন ধরণের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পরে অতিথি কর্ণার থেকে ইমদাদুল হক মিলনের আত্মজৈবনিক গ্রন্থ ‘যে জীবন আমার ছিল’র প্রথম পাঠক হিসেবে তা গ্রহণ করেন।
এর আগে কালের কন্ঠ শুভ সংঘ জেলা শাখা গণউন্নয়ন কেন্দ্র ও পাবলিক লাইব্রেরী কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় এ উপলক্ষে লাইব্রেরী কক্ষে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে । এতে অন্যদের মধ্যে সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের সাহিত্য ও জীবন বোধ বিষয়ক আলোচনায় অংশ নেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক অধ্যাপক জহুরুল কাইয়ুম, পাবলিক লাইব্রেরীর সহসভাপতি রনজিৎ বক্সী সূর্য, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জনি, গণউন্নয়ন কেন্দ্রের পরিচালক রিশাদ , শুভ সংঘের জেলা সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ বিপ্লব, সাংবাদিক উত্তম সরকার ও কালের কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি অমিতাভ দাশ হিমুন।
উদ্বোধন শেষে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক জহুরুল কাইয়ুম বলেন, মুক্তবুদ্ধির চর্চা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও তারুণ্যের বিপুল সম্ভাবনায় বিশ্বাসী সাংবাদিক , সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন আমাদের সামনে এক আলোকজ্জল বাতিঘর । তার রচনায় তিনি বারবার সামাজিক অসংগতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধি চক্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন।
এই বিশাল মানুষটি চেয়েছেন, গাইবান্ধায় তরুণ প্রজন্ম পাঠাভ্যাসে মগ্ন হোক। তার আকাংখার প্রতিফলন এই কর্ণার। গণউন্নয়ন কেন্দ্রের পরিচালক আবু সায়েম মো. জান্নাতুন নূর রিশাদ বলেন, শুভ সংঘের স্বপ্নদ্রষ্টা কথা সাহিত্যি ইমদাদুল হক মিলন তার প্রিয় লেখক। শুভ সংঘের তরুণদের পাশে তাদের প্রতিষ্ঠিান সব শুভ কাজে পাশে দাঁড়াতে চায়।
অতিথি মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ ইমদাদুল হক মিলনের জীবনাদর্শ। তিনি তরুণ প্রজন্মকে সেই আদর্শে আর্ত বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে উজ্জীবিত করেন। কালের কন্ঠ শুভ সংঘের মাধ্যমে তিনি তরুণদের শুভকাজে উদ্বুদ্ধ করে চলেছেন। যার ফলে সারা দেশে তরুণদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সেলফে ইমদাদুল হক মিলনের বই থাকার বিষয়টিকে তিনি পাঠকদের জন্য সৌভাগ্যের বিষয় বলে অভিহিত করে বলেন, স্বপ্নবাজ এই মানুষটি কৈশোর তারুণ্যে, যৌবনে আমাদের হৃদয়ের সুখ দু:খের স্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করেছেন। জীবনকে চিনতে শিখিয়েছেন।
জেলা শুভ সংঘের সাদারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক বলেন, কেন্দ্র থেকে এই কর্ণার স্থাপনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হয়েছে। আগামীতে এই কর্ণারকে সমৃদ্ধ করতে আরও বই পাওয়ার প্রতিশ্রুতি মিলেছে। এই কর্ণারে ৩ শতাধিক বই থাকবে। অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা করেন, শুভ সংঘের যুগ্ম সম্পাদক দেবী সাহা, জান্নাতুল ফেরদৌস মীম, জয় কুমার দাস, আহসান আজিম প্রধান নাঈম, তৌফিক মাহমুদ, সৈকত প্রধান , অনিন্দিতা প্রামাণিক লতাসহ অন্যরা।