Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৫-৭-২০২৩, সময়ঃ সকাল ০৯:২৮

উটপাখির ডিম থেকে ফুটলো বাচ্চা

উটপাখির ডিম থেকে ফুটলো বাচ্চা

দিনাজপুর সংবাদদাতা ►

দিনাজপুরে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) উটপাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটাতে সম হয়েছেন গবেষকরা। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিকস অ্যান্ড অ্যানিমেল ব্রিডিং বিভাগের গবেষণাগারে ইনকিউবেটরে উটপাখির ডিম থেকে একটি বাচ্চা ফোটে।

বাচ্চাটির সার্বণিক পরিচর্যা করছেন পিএইচডি গবেষক খন্দকার তৌহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, দেড় মাস আগে ইনকিউবেটরে ১৯টি ডিম বসানো হয়েছিল। সেখান থেকে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) একটি ডিম থেকে বাচ্চা ফুটেছে। বাচ্চাটির ওজন ৯৪৮ গ্রাম।

হাবিপ্রবির জেনেটিকস অ্যান্ড অ্যানিমেল ব্রিডিং বিভাগের গবেষণাগারে দেখা যায়, ইনকিউবেটরে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় একটি তাকে ট্রেতে সাজানো সারি সারি উটপাখির ডিম। নিচের ট্রেতে চুপ করে বসে আছে একটি উটপাখির ছানা। হালকা লোম, গায়ে ধূসর রং। মাঝে মধ্যে এদিক-সেদিক উঁকি দিচ্ছে ছানাটি। পিএইচডি গবেষক খন্দকার তৌহিদুল ইসলাম প্রায় প্রতি ঘণ্টায় ইনকিউবেটর থেকে ছানাটি বের করে টেবিলে রেখে শরীরের তাপমাত্রা পরীা করছেন। চোখেমুখে আনন্দের ছাপ তার।

খন্দকার তৌহিদুল ইসলাম জানান, আড়াই বছর ধরে উটপাখির বংশবৃদ্ধি, বাণিজ্যিকভাবে উটপাখির চাষ করে দেশে প্রোটিনের জোগান দেওয়ার বিষয়ে তিনি গবেষণা করছেন। তৃতীয় দফায় অর্ধশতাধিক ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর চেষ্টার পর সফলতা পেয়েছেন।

এ গবেষণার সঙ্গে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিকস অ্যান্ড অ্যানিমেল ব্রিডিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ গাফফার, সুপারভাইজার উম্মে সালমা, বর্তমান চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম ও উটপাখির খামারি এলমিস অটোরাইস মিলের স্বত্বাধিকারী সুলতান ইফতেখার ওয়ালী।

জেনেটিক্স অ্যান্ড অ্যানিমেল ব্রিডিং বিভাগ সূত্রে জানা যায়, হাবিপ্রবিতে ২০১৫ সালের শেষের দিকে দণি আফ্রিকা থেকে প্রথম দুটি উটপাখির বাচ্চা আনা হয়। পরে ছোট-বড় মিলে আরও ১৯টি উটপাখি আনা হয়। হাবিপ্রবির ক্যাম্পাসেই ভেটেরিনারি ভবনসংলগ্ন এক বিঘা জমিতে খামার স্থাপন করে গবেষণা শুরু করা হয়।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোলাহল পরিবেশে গবেষণা বাধাগ্রস্ত হওয়া ও শিার্থীদের গবেষণায় ব্যাঘাত ঘটায় ২০২১ সালে সদর উপজেলার গোপালগঞ্জের রানীগঞ্জ এলাকায় খামারি ও ব্যবসায়ী সুলতান ইফতেখার ওয়ালীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি হয়। এরপর উটপাখিগুলো তার খামারে লালনপালন হতে থাকে। ওই খামারে উৎপাদিত ডিম থেকেই বাচ্চা ফোটানো হয়েছে।

গবেষক এম এ গাফফার বলেন, ২০১৫ সালে দণি আফ্রিকা থেকে ২১টি উটপাখির বাচ্চা এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি ভবনসংলগ্ন এক বিঘা জমিতে খামার করে গবেষণা শুরু করা হয়। ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি প্রথম হাবিপ্রবির খামারে একটি উটপাখি ডিম দেয়। ডিমটির ওজন ছিল এক কেজি ১০০ গ্রাম। সে ডিমটি মাটিতে পড়ে ভেঙে যায়। ১৮ দিন বয়সী আনা ২১টি বাচ্চা বড় হয়ে ডিম দিয়েছে। সেই ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো সফল এসেছে।

খামারি সুলতান ইফতেখার ওয়ালী বলেন, উটপাখিসহ বিলুপ্তপ্রায় নানা পশুপাখি তার খামারে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক-শিার্থী-গবেষক তাদের গবেষণাকাজে খামারে আসছেন। এতে তার ভালোই লাগে। তিনি আরও জানান, তার খামারে এখন ১৪টি উটপাখি রয়েছে। পাখি ডিম পাড়লেই গবেষণাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
 

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad