নিজস্ব প্রতিবেদক►
দেশের কল্যাণ, দুনিয়া ও আখিরাতে শান্তি কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো তাবলিগ জামাত আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী গাইবান্ধা জেলা ইজতেমা। আখেরি মোনাজাতের সময় ‘আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার মাঠেরহাট এলাকা।
সন্তুষ্টি লাভের আশায় হাজার হাজার মানুষ আল্লাহর কাছে আর্জি জানান। অনেকে কেঁদে কেঁদে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান। বিশ্ব শান্তির জন্য দোয়া করেন।
আজ শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়ে ১২টা ৫৪ মিনিটে শেষ হয়। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের মুফতি আজিম উদ্দিন সাদ। এর আগে তিনি হেদায়েতি বয়ান করেন।
এদিন সকাল থেকেই আখেরি মোনাজাতের কারণে ইজতেমা মাঠের আশপাশের সড়কের যান চলাচলে ব্যস্ততা ছিল। যারা ইজতেমা ময়দানে পৌঁছাতে পারেননি তারা রাস্তায়, যানবাহনে, দোকানপাটে বসেও মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন। সম্মিলিত ‘আমিন’, ‘আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো ইজতেমা ময়দান। সর্বস্তরের মানুষ অশ্রুসিক্ত নয়নে আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এদিকে পুরো ইজতেমা ময়দানজুড়ে ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ছিল পুলিশের ওয়াচ টাওয়ার, সিসি ক্যামেরা মনিটরিংসহ টহল টিম।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তিনদিন ব্যাপী গাইবান্ধা জেলা ইজতেমা। জেলার সাত উপজেলার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ছাড়াও প্রতিবেশী ভারত, কেনিয়া, শ্রীলঙ্কা, উগান্ডা ও মালয়েশিয়া থেকেও মুসল্লিরা এ ইজতেমায় অংশগ্রহণ করে।
নিজস্ব প্রতিবেদক►
বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং দেশে খাদ্য উৎপাদনে রহমতসহ শান্তি কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে গাইবান্ধার তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা।
এসময় মহান আল্লাহর কাছে পাপ মুক্তিসহ বিশ্ব মুসলিমের মঙ্গল ও নির্যাতিত-নিপীড়িত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা কামনা করে প্রার্থনায় অংশ নেন হাজারও মুসল্লি।
আজ (শনিবার, ৭ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় মোনাজাত শুরু হয়ে শেষ হয় ১টায়। মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের মুরব্বী মাওলানা আব্দুল্লাহ শেখ।
এর আগে ফজরের নামাজের পর বয়ান শুরু হয়। মাঝে খাবার বিরতি শেষে হেদায়াতি বয়ান শুরু হয়। পরে ঠিক দুপুর সাড়ে ১২টায় আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলে আখেরি মোনাজাত।
এদিকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে রাত থেকেই গাইবান্ধা জেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার তাবলিগ জামাতের অনুসারীরা ইজতেমাস্থলে পৌঁছান। এছাড়া শনিবার ভোর থেকে গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকার লোকজন দলে দলে ইজতেমা ময়দানে আসেন। ইজতেমার নির্দিষ্ট মাঠ ছাড়াও আশপাশে অবস্থান করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। বেলা ১১টার মধ্যেই ইজতেমা মাঠের মূল মঞ্চ থেকে আশপাশের সব জায়গা মুসল্লিদের আগমনে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এবারে ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মহিলাও অংশ নেন। পুরুষের পাশাপাশি তারাও সকাল থেকে ইজতেমাস্থলের আশপাশের বাড়িতে অবস্থান করেন।
গাইবান্ধা হাসপাতাল বালুয়া এলাকার যুবক রবিউল ইসলাম বলেন, ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছি। এবারও অনেক মানুষের সঙ্গে মোনাজাত করলাম। আল্লাহর কাছে নিজের, পরিবার ও দেশের জন্য দোয়া করেছি।
সাদুল্লাপুর উপজেলার বৃদ্ধ আব্দুল মজিদ বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে মাঠে ইবাদত বন্দেগি করেছি। আজ আখেরি মোনাজাতে নাতিকে সঙ্গে নিয়ে অংশ নিয়েছি। মোনাজাত করলাম। আল্লাহর কাছে লাখো শুকরিয়া।
ইজতেমা পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক হুমায়ুন কবির বলেন, আল্লাহ অশেষ রহমতে সুষ্ঠুভাবে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে ইজতেমা সমাপ্ত হলো। প্রশাসন, এলাকাবাসীসহ যারা সময় দিয়েছেন তাদের সহযোগিতার কারণে এটি সফল হয়েছে।