নওগাঁ প্রতিনিধি►
অবশেষে আধুনিকায়নের মাধ্যমে নতুন সাজে উন্মুক্ত হলো দীর্ঘদিন পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার একমাত্র শিশু পার্কটি। পার্কটি শিশুবান্ধব করতে স্থাপন করা হয়েছে নতুন নতুন রাইড।
শিশুদের প্রিয় দোলনা, ঢেঁকিসহ অন্যান্য খেলনাও স্থাপন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে শাহাদাত হুসেইন উপজেলায় যোগদানের পরই বছরের পর বছর গণশৌচাগার হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া শিশু পার্কটিকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে শিশুবান্ধব করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
উপজেলার কোথাও শিশুদের বিনোদনের জন্য ছোট হলেও একটি শিশু পার্ক নেই যেখানে শিশুরা গিয়ে খোলা পরিবেশে খেলাধুলার মাধ্যমে সুস্থ্য বিনোদন গ্রহণ করতে পারে। এমন যান্ত্রিক সময়ে উপজেলার এই শিশু পার্কটি সুস্থ্য পরিবেশে শিশুদের বড় হতে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে এমনটাই মনে করছেন উপজেলার সচেতন মহল।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে পার্কটি উদ্বোধনের মাধ্যমে সবার জন্য বিশেষ করে শিশুদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কাটেন। এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইকরামুল বারীসহ প্রশাসনের অন্যান্য দপ্তরের বিভাগীয় প্রধানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন, ক্যান্সারের চেয়েও ক্ষতিকর বর্তমান মোবাইল আসক্তির যুগে শিশুদের সুস্থ্য বিনোদনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে তোলার জন্য শিশু পার্কের কোন বিকল্প নেই। উপজেলায় যোগদানের পর দেখতে পাই যে, উপজেলা চত্বরের অভ্যন্তরে বসবাসকারী পরিবার ও উপজেলার আশেপাশের শিশুদের বিনোদনের একমাত্র পার্কটি বছরের পর বছর সংস্কার না করার কারণে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।
শিশুদের পাশাপাশি বড়দের হাটার জন্য কিংবা বিকেলে একটি নিরিবিলি পরিবেশে বসে সময় কাটানোর মতো কোন পরিবেশ উপজেলায় নেই। তাই উপজেলার বরেন্দ্র গেইট সংলগ্ন এই পরিত্যাক্ত শিশু পার্কটি যদি আধুনিকায়নের মাধ্যমে শিশুবান্ধব করা যায় তাহলে মুক্ত পরিবেশে শিশুদের খেলাধুলার মাধ্যমে বিনোদন গ্রহণের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও মুক্ত পরিবেশে সময় কাটানোর একটি সুন্দর ও ছিমছাম পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব এমন চিন্তা থেকেই সবার সহযোগিতা নিয়ে পার্কটিকে সংস্কারের মাধ্যমে আধুনিকায়নের কাজ শুরু করি। আগামীতে পার্কের আরোও আধুনিকায়ন করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।