নিজস্ব প্রতিবেদক►
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে গাইবান্ধায় শিক্ষার্থী-জনতা এবং নিহতদের স্বজন ও আহতদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
আজ (সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে গাইবান্ধায় পৌঁছায় সংগঠনটির ১২ সদস্যের একটি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
পরে শহরের গাইবান্ধা পাবলিক লাইব্রেরি অ্যান্ড ক্লাবে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জেলার নিহত ছয় পরিবার এবং আহতদের পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর মতবিনিময় করেন আন্দোলনের সময় জেলা-উপজেলার নেতৃত্বে থাকা ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে নিহত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আহসানুল ইসলাম দীপ্তর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
শেষে বিকেল ৪টার দিকে গাইবান্ধা স্বাধীনতা প্রাঙ্গনে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-নাগরিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতেই শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়। গাইবান্ধার শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষ সমন্বয়ক পরিচয়ে মঞ্চে উঠলে শিক্ষার্থীদের অপর একটি পক্ষ উত্তেজিত হয়ে ওঠে। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ মিছিল নিয়ে সভাস্থলে আসে। এসময় সভাস্থলে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের একটি অংশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায় তারা। এসময় শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় ব্যানারসহ মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওই অংশটি পালিয়ে যায়। পরে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং মতবিনিময় সভা শুরু হয়। সভায় শিক্ষার্থী-জনতা রাষ্ট্র সংস্কার এবং গাইবান্ধার সমস্যা-সম্ভাবনা নিয়ে নানা প্রশ্ন ও মতামত দেন। পরে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা প্রশ্নগুলোর জবাব দেন।
মতবিনিময় সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের আবু সাঈদ লিয়ন, তরিকুল ইসলাম, রকিব মাসুদ, এস.আই. শাহিন, মুমতাহিনা মাহজাবীন মোহনা, আব্দুল মুনঈম, মিশু আলি সুহাস, মোঃ জহির রায়হান, ফিহাদুর রহমান দিবস, সুমন বসুনিয়া, সজিব ইসলাম, আব্দুর রফিক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও গাইবান্ধার সমন্বয়ক ও সংগঠকরাও এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গেল রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা থেকে রংপুরের উদ্দেশে রওনা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। গতকাল সোমবার সকালে রংপুরের পীরগঞ্জে পৌঁছে তারা শহীদ আবু সাঈদের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং কবর জিয়ারত করেন। এরপর সেখান থেকে গাইবান্ধার উদ্দেশে রওনা দেন।