আন্তর্জাতিক ডেস্ক ►
ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তিদানে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতির শর্ত দিয়েছিল হামাস। এবার হামাসের সেই শর্তে মেনে পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইসরাযেল।
শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি চুক্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে হামাস, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। চুক্তির আওতায় হামাস বেশ কয়েক জিম্মিকে মুক্তি দেবে। বিনিময়ে পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতি দেবে ইসরায়েল। চুক্তি সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে শনিবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শেষ মুহূর্তের কোনো বাধা ছাড়াই আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জিম্মিদের মুক্তিদানের প্রক্রিয়া শুরু হবে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, যুদ্ধের সব পক্ষ অন্তত পাঁচ দিনের জন্য লড়াই বন্ধ রাখবে। এ সময় প্রতি ২৪ ঘণ্টায় গ্রুপ গ্রুপ করে ৫০ বা এর চেয়ে জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস।
গত ৭ অক্টোবর গাজা সীমান্তবর্তী ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলি হত্যার পাশাপাশি প্রায় আড়াইশ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। এদের মধ্যে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সদস্য ছাড়াও রয়েছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বেসামরিক নাগরিক। এসব বেসামরিক বন্দিদের মধ্যে বিভিন্ন দেশের নাগরিকও রয়েছে বলে জানা যায়। এরপর হামসকে নিশ্চিহ্নের নাম করে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় এরই মধ্যে ১২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
বর্তমানে গাজায় হামলা চালানোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যস্থতায় জিম্মিদের মুক্ত করতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে নেতানিয়াহু সরকার। এমন পরিস্থিতিতে গত ১৪ নভেম্বর হামাস জানায়, সমগ্র গাজায় পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতির শর্ত মানলে ইসরায়েল ৭০ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবায়দা বলেন, জিম্মিদের মুক্তির জন্য পুরো গাজা উপত্যকায় পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতির শর্ত মানতে হবে। এ ছাড়া এ অঞ্চলের সব জায়গায় মানবিক ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ দিতে হবে। নিজেদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে একটি অডিও শেয়ার করে এ তথ্য জানান তিনি।