- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ২০-১-২০২৪, সময়ঃ সকাল ১১:২৫
৩ সিনেমা দিয়ে খুলল নতুন বছরে সিনেমা মুক্তির খাতা
মাধুকর ডেস্ক►
প্রত্যেক বছরের প্রথম সপ্তাহে দেশের সিনেমা মুক্তি পেলেও রাজনৈতিক কারণে এবার সিনেমা মুক্তি পেছানো হয়েছে। নির্বাচন পেরিয়ে শুক্রবার (১৯ মে) প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলো ঢাকার নতুন সিনেমা। একটি মেহেদী হাসানের ‘শেষবাজি’, অপরটি চয়নিকা চৌধুরীর ‘কাগজের বউ’। এই দুই সিনেমার সঙ্গে মুক্তির তালিকায় যুক্ত হয়েছে কলকাতার আমদানিকৃত সিনেমা ‘হুব্বা’। দেশের দুই সিনেমার চেয়েও বিপুল সংখ্যক বেশি হল নিয়ে পর্দায় উঠছে ছবিটি।
`হুব্বা’ দেশে আমদানি করেছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, দেশের ৬৩ প্রেক্ষাগৃহে একযোগে চলবে ছবিটি। এর মধ্যে স্টার সিনেপ্লেক্সের সবগুলো শাখা, লায়ন সিনেমাস (পুরান ঢাকা), সিলভার স্ক্রিন (চট্টগ্রাম), মধুবন (বগুড়া), সিনেস্কোপ (নারায়ণগঞ্জ), মধুমিতা (ঢাকা) অন্যতম।
পশ্চিমবঙ্গের গুণী অভিনেতা ও নির্মাতা ব্রাত্য বসুর নির্মাণে ‘হুব্বা’য় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের মোশাররফ করিম। সেই সুবাদে দেশেও ছবিটি ঘিরে আলোচনা চলছে তুমুল। ছবি নিয়ে মোশাররফ করিমের ভাষ্য এরকম, ‘ডাবিংয়ের সময় ছবিটা দেখেছি। আমি কিন্তু কখনও আমার কোনও কাজ নিয়ে এটা বলতে পছন্দ করি না যে, অসাধারণ হয়েছে। তবে ডাবিংয়ে দেখার সময় আমার নিজের কাছে মনে হয়েছে, আমি খুশি, সন্তুষ্ট। নির্মাতা-প্রযোজকও ভীষণ উচ্ছ্বসিত।’
এদিকে দেশের ছবি ‘কাগজের বউ’ নির্মাণ করেছেন চয়নিকা চৌধুরী। এটি তার নির্মিত তৃতীয় সিনেমা। এতে অভিনয় করেছেন পরীমণি, ইমন ও ডি এ তায়েব। ছবিটি নিয়ে নির্মাতা চয়নিকা বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি। একটা পারিবারিক, সামাজিক গল্প বলার। কোনও মারামারি, খুনাখুনি নেই। সব মা-বাবার গল্প, স্বামী-স্ত্রীর গল্প। দর্শক নিজের সঙ্গে মেলাতে পারবে। আর শেষে হয়ত চোখে জল আসবে।’
এই ছবিটি ৯টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে বলে নিশ্চিত করলেন নির্মাতা। এর মধ্যে ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সের দুটি শাখা (বসুন্ধরা ও মিরপুর), ব্লকবাস্টার সিনেমাস, লায়ন সিনেমাস ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
অন্যদিকে ‘শেষ বাজি’ ছবিটি দেশের ১৭টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছেন এর নির্মাতা মেহেদী হাসান। ছবিটিতে অভিনয় করেছে সাইমন সাদিক, শিরিন শিলা, বড়দা মিঠু প্রমুখ।
মেহেদী হাসান জানান, ‘শেষবাজি’ সিনেমা ১৭ হলে মুক্তি পাচ্ছে। প্রথমদিকে কম হল নিয়ে সিনেমাটি রান করতে চাই পরবর্তীতে সিনেমার চাহিদা বুঝে হল সংখ্যা বাড়ানো হবে।’