• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২৮-২-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৪:৩৭

সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মেধা বিকাশের লক্ষ্যে জমি দিলেন পৌর মেয়র



নিজস্ব প্রতিবেদক ►

গাইবান্ধায় সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মেধা বিকাশের লক্ষ্যে শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের জন্য জমি দান করেছেন গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র মোঃ মতলুবর রহমান।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আইনুল ইসলাম পৌর মেয়রের জমি দানের বিষয়টির নিশ্চিত করেন। এর আগে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গাইবান্ধা সাব-রেজিস্টার কার্যালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে পৌর শহরের গোবিন্দপুর এলাকার ১২ শতাংশ জমি ঐ বিদ্যালয়ের নামে দানপত্র দলিল করে দেন মেয়র।

২০০৬ সালে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় 'শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়' প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে বিদ্যালয়টি। এই বিদ্যাললয়ের নিজস্ব জায়গা না থাকায় দীর্ঘদিন থেকে গাইবান্ধা সদর উপজেলার উত্তরপাড়া ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ছুটির পর বিকেল ৩ টা হতে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত এই স্কুলের কার্যক্রম পরিচালিত হতো। 

প্রধান শিক্ষকসহ চারজন শিক্ষক স্কুলটিতে ১১৭ জন ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়মিত পাঠ দান করে আসছেন। ২০১০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই স্কুলের মোট ৪১ জন ছাত্র-ছাত্রী শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বৃত্তি পরীক্ষায় বৃত্তি পেয়েছেন। এদের মধ্যে বালক ২০ জন ও বালিকা ২১ জন।

বিষয়টি গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র মতলুবর রহমানের নজরে আসলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে ৩৫ লক্ষ ৪২ হাজার টাকায় ক্রয়পূর্বক স্কুলের নামে এই জমি দান করেন।

প্রধান শিক্ষক আইনুল ইসলাম বলেন, এতদিন জমির অভাবে ভবন নির্মাণ করার কথা চিন্তাও করতে পারিনি। পৌর মেয়র এই জমি ক্রয় করে দেয়ায় ভবন নির্মাণে আর কোনো বাধা রইল না। বর্তমানে এই স্কুলের ভবন নির্মাণ করতে যতোটুকু জমির প্রয়োজন ততোটুকু জমি হয়ে গেছে। তিনি জানান, মেয়রের দেয়া জমিতেই আগামীতে নির্মিত হবে আমাদের স্কুলের নতুন ভবন।

তিনি আরও বলেন, মেয়র সাহেবের শুধু জমি দানই নয়, তিনি নির্বাচনী এস্তেহারে গাইবান্ধা পৌরসভার যতোগুলো ওয়াদা করেছিলেন, তার সবকাজ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করে চলেছেন। তারি অংশ হিসেবে তিনি এই জমি দান করেন। এর আগেও পৌর মেয়র গাইবান্ধা সদর হাসপাতালেও নিজস্ব অর্থায়নে একটি ইসিজি মেশিন ক্রয় করে জনকল্যাণে দান করেন। বিদ্যালয়ের জমি কিনে দেওয়ার কথ ছড়িয়ে পড়লে ধন্যবাদ জানানোসহ আবেগ আপ্লুত হন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।