• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৬-৩-২০২৪, সময়ঃ বিকাল ০৫:১৯

সুন্দরগঞ্জে বাজার মনিটরিং চলমান, ম্যাজিস্ট্রেট এলে ঝোলানো হয় মূল্য চাট



এ মান্নান আকন্দ, সুন্দরগঞ্জ

পবিত্র মাহে রমজান মাসে সুন্দরগঞ্জে চলমান রয়েছে বাজার মনিটরিং। কিন্তু কমেনি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। ম্যাজিষ্ট্রেট গেলে ঝুলানো হয় পণ্যের মূল্য দরের চাট, চলে গেলে নামিয়ে রাখা হয় সেটি। 

কষ্টের সীমা নেই নিম্ন আয়ের মানুষজনের। কাঁচা বাজারে গিয়ে হিমশিম খেয়ে অনেকে ফিরে যাচ্ছে বাড়িতে। মাছ, মাংস ও মুরগির বাজারে যাওয়ার সাহস হচ্ছে না নিন্ম আয়ের মানুষজনের। 

সরকারিভাবে কিছু পণ্যের দাম বেধে দেওয়া হলেও তা মানছেন না পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাগণ। তাদের দাবি বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আরদ ও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। দায় চাপিয়ে দিচ্ছেন এক অন্যের উপর।

পহেলা রমজান হতে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার মনিটরিং করছেন উপজেলা নিবার্হী মো. তরিকুল ইসলাম। বাজারে খুচরা বিক্রেগণ দায় চাপিয়ে দিচ্ছেন পাইকারদের উপর। আবার পাইকারগণ বলছেন আরদে যে হারে ক্রয় ও বিক্রয় হচ্ছে, সেই হারে খুচরা এবং পাইকারগণ বিক্রি করছে।

পৌর শহরের রামডাকুয়া মহল্লার ভ্যান চালক মো. ফরমান আলীর ভাষ্য ম্যাজিষ্ট্রেট বাজারে গেলে চাট ঝুলে দেয়। আবার ম্যাজিষ্ট্রেট বাজার থেকে চলে গেলে তা নামিয়ে রাখে। এই যদি হয় বাজার ব্যবস্থা তা হলে কি করে সাধারন ক্রেতাগণ বাজার করবেন। 

কাচা বাজারের ক্ষেত্রে মূল্য চাট ঝুলানো সম্ভাব নয় বললেন সুন্দরগঞ্জ বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মো. হামিদুল ইসলাম। তার ভাষ্য কাচা বাজার ঘন্টার মধ্যে পরিবর্তন হয়। কৃষক এবং পাইকারগণ যে দামে বিক্রি করে, সেই তুলনায় খুচরা বাজারে বিক্রি করতে হয়।

পাইকার আসাদুল ইসলাম জানান, কাচা বাজারের মধ্যে আলু, পিয়াজ, মরিচ, রসুন ছাড়া বাকী সব পণ্যের বাজার দর নির্ধারন করা অত্যন্ত কষ্টকর। পণ্যের সরবরাহের উপর বাজার দর নিধারন করতে হয়। 

মাছ ব্যবসায়ী মংলু চন্দ্র দাস জানান, আরদে যে হারে মাছ ক্রয় করা হয়, খরচ বাদে তার চেয়ে ১০ হতে ২০ টাকা বেশি দরে কিক্রি করা হয়। তাদের ভাষ্য এছাড়া তো তাদের সংসার চলবে না।

মুরগি ও মাংস ব্যবসায়ীদের একই ভাষ্য। গরুর মাংস বিক্রেতা মো. শহিল ইসলাম জানান,  গরুর দামের উপর নির্ভর করে মাংস বিক্রি করতে হবে। তা না হলে তো লোকসান গুনতে হবে। বেশি টাকা দিয়ে গরু কিনলে বেশি দামে মাংস বিক্রি করতে হবে।

মুরগির ব্যবসায়ী মো. আমিনুল ইসলামের ভাষ্য, বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আরদে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তাছাড়া বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে না।

মুদি দোকানদার কেশব চন্দ্র সরকার জানান, সরকারি দরে  নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। যে দিন যে দর সেই দর চাটে লেখে রাখা হচ্ছে।

উপজেলা নিবার্হী অফিসার জানান, কাচা বাজারের পণ্যের দাম হেরফের হতে পারে। কিন্তু অন্য সব পণ্যের বাজার দর সরকারি মূল্য দরের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। তার ভাষ্য মানুষের মধ্যে মুল্যবোধ সৃষ্টি না হলে বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে না। সকলের প্রচেষ্টাই বাজার দর নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।