• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৩-৮-২০২৩, সময়ঃ সকাল ০৯:৫৮

সুন্দরগঞ্জে পাট পচানো নিয়ে বিপাকে চাষিরা



সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি►
খরা, প্রচন্ড তাপদাহ এবং অনাবৃষ্টির কারণে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর-ডোবা এবং নিচু জলাশয়গুলো শুকিয়ে গেছে। সে কারণে তোষা পাট পচাঁনো নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পাট চাষীরা। বৃষ্টির আশায় পাট কেটে জমিতে স্তুপ করে রাখছে দিনের পর দিন। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ার কারনে জমিতে স্তুপ করে রাখা পাট শুকে যাচ্ছে। পচাঁনোর ব্যবস্থা করতে পারছে না চাষিরা। 

অনেকে নিচু জলাশয়ে সেচ মটর দিয়ে পানি ভর্তি করে পাট পচাঁনোর ব্যবস্থা করলেও দু’তিন দিনের মধ্যেই সেই পানিও শুকে যাচ্ছে। সবমিলে পাট চাষিরা চরম বিপাকে পড়েছে। চাষিদের স্বপ্ন সোনালী আঁশ যেন গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৪ হাজার ৫৬৫ হেক্টর জমিতে তোষাপাট চাষাবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যে পাট কাটা শুরু হয়েছে। পাট পচাঁনোর জন্য ১০ হতে ১২দিন সময় লাগে। প্রতি বিঘা জমিতে ৮ হতে ৯ মন পাট উৎপাদন হয়। বর্তমান বাজারে প্রতিমন পাট বিক্রি হচ্ছে গ্রেড অনুযায়ী আড়াই হাজার হতে তিন হাজার টাকা। তোষাপাটের চাষাবাদ চরাঞ্চলে বেশি। 

বেলকা গ্রামের পাট চাষি ফুল মিয়া জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করে ছিলেন। গত ১০দিন হল পাট কেটে জমিতে স্তুব করে রেখেছেন, পানি না থাকার কারনে পচাঁনোর জন্য জাগ দিতে পারছে না। ইতিমধ্যে জমিতে তার পাট শুকে গেছে। স্থানীয় জলাশয়ে সেচ মটার দিয়ে পানি ভর্তি করে পচাঁনোর ব্যবস্থা করা হলেও পানি দিতে হচ্ছে প্রতিদিন। এতে করে উৎপাদন খরচের পরিমান বেড়ে যাচ্ছে, তারপরও পাটের রং নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। তিনি আরও বলেন পাটের রং ভাল না হলে দাম ভাল হবে না। এমনকি খরচ উঠবে না। 

হরিপুর ডাঙ্গার চরের সোলেমান মিয়া জানান, তিস্তার শাখা নদীতে তার দুই বিঘা জমির পাটের জাগ পানির অভাবে শুকনা জায়গায় পড়ে রয়েছে। শাখা নদীতে পানি দেয়ার মত কোন ব্যবস্থা নেই। মহাবিপাকে পরেছেন তিনি। 

উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির জানান, বৃষ্টি না হওয়ার কারনে নিচু জলাশয় সমুহ শুকে গেছে। ক্ষনিকের জন্য একটু সমস্যা দেখা দিয়েছে। অনেকে সেচ মটারের মাধ্যমে নিচু জলাশয়ে পানি দিয়ে এবং  ব্যক্তিগত পুকুরে পাট পচাঁনোর ব্যবস্থা করছেন। চলতি মৌসুমে পাটের ভাল ফলন হয়েছে। পাট চাষিরা এখন অনেক লাভবান। কারন পাটের আশেঁর পাশাপাশি পাটকাঁটি দামও অনেক ভাল।