- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ১২-৩-২০২৪, সময়ঃ সকাল ১১:০৪
সুন্দরগঞ্জে আলুর ফলন ভালো, কমেনি দাম
এ মান্নান আকন্দ, সুন্দরগঞ্জ►
চলতি বছর তিস্তার চরাঞ্চলসহ স্থানীয় পর্যায়ে আলুর ফলন ভালো হয়েছে। উৎপাদন বাড়লেও ভরা মৌসুমে আলুর দাম কমেনি। প্রতিদিন বেড়েই চলছে আলুর বাজার দর। মধ্যবিত্ত ও অল্প আয়ের মানুষজনের লাগালের বাইরে চলে গেছে। সে কারনে অনেকে বাজারে গিয়ে আলু কিনতে হিমশিম খাচ্ছে।
গত বছরের চেয়ে আলুর উৎপাদন বিঘা প্রতি ৫ হতে ৭ মন বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ১৫ দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৫ টাকা হারে বেড়ে বর্তমান বাজারে ৩৫ হতে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে আলু।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরগঞ্জের ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় চলতি মৌসুমে ১ হাজার ৬৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ফলনও হয়েছে ভাল, দামও বেশি। বিশেষ করে উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার চরে ব্যাপক হারে আলুর চাষাবাদ হয়েছে।
কাপাসিয়া ইউনিয়নের পূর্ব বাদামের চরের কৃষক মো. আনছার আলী জানান, তিনি ২ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে ক্ষেত হতে আলু তুলেছেন। এতে বিঘা প্রতি তার ফলন এসেছে ৭৫ মন। বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী ৭৫ মন আলুর দাম ৯০ হাজার টাকা। বিঘাতে তার খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। তার ভাষ্য এক বিঘা জমিতে লাভ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা।

হরিপুর চরের মো. আব্দুল ওয়াহেদ সরকার জানান, তিনিও ৩ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। একই ফলন হয়েছে তার জমিতেও। তার দাবি আলু সংরক্ষণ করতে পারলে আরও ভাল দাম পাওয়া যেত। কিন্তু উপজেলায় হিমাগার নেই। একটি হিমাগার থাকলেও ধারন ক্ষমতা কম।
পৌর শহরের রিকসা চালক মো. হায়দার আলী জানান, খুচরা বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি ৩৫ হতে ৬০ টাকা দরে। প্রতিদিনের রোজগারের টাকা দিয়ে চাল, ডাল কেনার পর আলুসহ অন্যান্য বাজার কেনা সম্ভব হচ্ছে না। বাজারে সরকারের তদারকি করা দরকার।
সুন্দরগঞ্জ বাজারের খুচরা বিক্রেতা মো. হামিদুল ইসলাম ইসলাম জানান, স্থানীয় আলু দিয়ে চাহিদা পুরুন হচ্ছে না। সে কারনে জেলার বাহির থেকে আলু আনতে হচ্ছে। যার জন্য বেশি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।
কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. লিটন মিয়া জানান, গত বছরের চেয়ে চলতি বছর চরে আলুর ফলন ভাল হয়েছে। গত বছর দাম বেশি হওয়ার কারনে আলু চাষির সংখ্যাও বেড়ে গেছে। তবে বীজ, সার ও কীটনাশকের দাম তুলনামুলক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রাশিদুল কবির জানান, তিস্তার চরাঞ্চলে প্রতিটি ফসলের ফলন অত্যন্ত ভাল। চরের পলি মাটিতে বেশি সার দিতে হয় না। চলতি মৌসুমে চরে আলু, ভূট্টা,গমের ফলন ভাল হয়েছে।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম জানান, গোটা রমজান মাস বাজার মনিটরিং করা হবে। যাতে করে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট তৈরি করতে না পারে।