• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৮-২-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৪:২০

সাদুল্ল্যপুরের সংযোগবিহীন কালভার্ট



নিজস্ব প্রতিবেদক ►

চারপাশে কৃষকের মাঠ। মাঝ দিয়ে মেঠোপথ। এ পথেই চলাফেরা করতেন নিভৃত পল্লীর মানুষ। জনস্বার্থে দেড়যুগ আগে নির্মিত হয় উঁচু একটি কালভার্ট। কিন্তু কালভার্টের দুই পাশে আজও ভরাট করা হয়নি মাটি। ফলে এ রাস্তায় মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। যার কারণে নিঃসঙ্গভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে গ্রামীণ জনপদের এই কালভার্টটি।

সম্প্রতি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নে বুজরুক পাকুরিয়া গ্রামে ওই কালভার্টটি নজরে পড়ে। সাদুল্লাপুর-ঠুটিয়াপুকুর পাকা সড়ক ঘেঁষে স্থানীয় এছাহাক আলীর বাড়ি থেকে বেলাল হোসেনের বাড়ি থেকে পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার মাঝখানে দেড়যুগ পুর্বে ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে খালের ওপর কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, ওই রাস্তা দিয়ে যুগ যুগ ধরে এলাকার মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করতো। একপর্যায়ে রাস্তার আশেপাশের কৃষিজমির পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। এসডিএফ নামের একটি সংস্থার অর্থায়নে প্রায় ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে কালভার্টটি নির্মাণ করে। এটি নির্মাণের ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও সংযোগ সড়কের মাটি ভরাট করা হয়নি এখনো।

এমতাবস্থায় বন্ধ হয়েছে মানুষের চলাফেরা। যার কারণে ৪২ লিং প্রসস্থ রাস্তা ধীরে ধীরে কেটে নিয়ে এখন ২০ লিং দৃশ্যমান রয়েছে। যুগযুগ ধরে হাঁটাপথের ওপর ব্যবহার অনুপযোগী ওই কালভার্ট নির্মিত হওয়ায় এলাকাবাসী হারিয়ে ফেলেছেন তাদের চলাচলের পূর্বের পথটিও। তবে আবার কতিপয় লোকজন বিশেষ প্রয়োজনে মই বেয়ে ওঠে চলাচল করছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিরব ভূমিকার কারণেই রাস্তাটির মাটি ভরাট করা হচ্ছে না। ফলে যাতায়াতে প্রায় ১ কিলোমিটার পথ ঘুরে প্রয়োজনীয় কাজে নানান দিকে চলাচল করতে হচ্ছে। স্থানীয় একরামুল হক বলেন, ওই কালভার্টের সংযোগ রাস্তায় মাটি ভরাট না করায় এ পথে চলাচল করতে পারছি না। এলাকার শত শত মানুষকে বিকল্প সড়ক ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। ফলে আমরা নানান দুর্ভোগে পড়েছি। রাস্তাটিতে মাটি ভরাট করা হলে মানুষের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হবে।

এ বিষয়ে এসডিএফ সংস্থার তৎকালীন গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন কমিটির নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ওই জায়গায় কালভার্ট নির্মাণের পর মাটি ভরাটের জন্য কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে অন্য পাশে পাকা সড়ক হওয়ায় সেদিক দিয়ে এখন এই এলাকার মানুষ চলাচল করছেন।

এ ব্যাপারে সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রেজাউল করিম বলেন, ওই রাস্তা কিংবা কালভার্টের বিষয়টি জানা নেই। ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।