- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ৮-৬-২০২৪, সময়ঃ বিকাল ০৫:০৯
সাঘাটায় যমুনার চর থেকে ১২টি চোরাই গরু উদ্ধার
সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি►
গাইবান্ধার সাঘাটায় যমুনা নদীর চর থেকে ১২টি চোরাই গরু উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ সাথালিয়া এলাকার বুগার পটল নামক স্থানে কাঁশবন থেকে গরুগুলো উদ্ধার করা হয়।
আজ (শনিবার, ৮ জুন) সাঘাটা থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল মামুন।
ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পেশাদার গরু চোরেরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারই ধারাবাহিকতায় চরাঞ্চলকে নিরাপদ আশ্রায় কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিয়ে চোরেরা চরাঞ্চলের কাঁশবনের ভেতর চোরাই গরু সংরক্ষণ করছিল।
গত শুক্রবার থানায় গোপনে সংবাদ আসে, উপজেলার যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলের দক্ষিণ সাথালিয়া এলাকার বুগারপটল নামক চরে চোরেরা কাঁশবনের ভিতর চোরাই গরু এনে রেখেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে সাঘাটা থানা পুলিশের একটি টিম ও স্থানীয় জনসাধারণসহ চরের কাশবনের ভেতর অভিযান চালিয়ে কাঁশবনের ভেতরে কাশের ছাউনি ছাপড়ার নিচে অজ্ঞাত কতিপয় চোর ও চোরাই গরু দেখতে পায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাই গরুগুলো রেখে চোরেরা কাঁশবনের মধ্য দিয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ছোট-বড় ১২ টি চোরাই গরু উদ্ধার করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি- সার্কেল) আরও বলেন, এর মধ্যে ৪ টি গরু উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের যাদুরতাইড় গ্রামের মোঃ শফিউর রহমান তার নিজের বলে সনাক্ত করেছেন। বাকী ৮টি গরুর মালিকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। উপযুক্ত প্রমানসহ মালিক পাওয়া গেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করে আদালতের মাধ্যমে মালিকের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
এ বিষয়ে সীমান্তবর্তী সব থানাগুলোতে বেতার বার্তা পাঠানো হয়েছে। দুই জন চোরের নামও সনাক্ত করা হয়েছে, তদন্তের স্বার্থে এই মুহুর্তে তাদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে ৪ গরুর মালিক শফিউর রহমানকে বাদী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।