- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ১৭-৫-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৩:৫৭
সাঘাটায় মালিকানা জমিতে ক্যানেল খননের অভিযোগ
সাঘাটা প্রতিনিধি ►
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনার পাড়া ইউনিয়নের পূর্ব রাঘবপুর মৌজায় লিয়াকত আলী নামে এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের ক্রয়করা করা জমির ওপর মূল্যবান কাঠের গাছ নষ্ট করে আলাই নদীর ক্যানেল খনন ও এলজিইডির স্লুইস গেট নির্মাণ করা করা হয়েছে। এতে ওই পরিবারের আবাদি জমি সহ প্রায় ২৩ লাখ টাকার ক্ষতিসাধিত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত লিয়াকত আলী তার ক্ষতিপুরণের দাবিতে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
জানা যায়, রাঘবপুর (মধ্য পাড়া ) গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য লিয়াগত আলী তার ছেলে ফাহাদ আজমী ফাইম এর নামে পার্শ্ববর্তী আলাই নদীর ক্যানেল সংলগ্ন স্থানে দুটি দলিল মুলে ১৭ শতক জমি ক্রয় করে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছেন। সাম্প্রতিক সময়ে সাঘাটা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্ত উক্ত মৌজায় আলাই নদী সংলগ্ন একটি ক্যানেল খনন ও একটি স্লুইস গেট নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে।
এলাকাবাসি জানান এই ক্যানেলটি খনন এবং স্লুইসগেট নির্মাণের আগে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে বিস্তীর্ণ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো। তখন শত শত একর জমিতে ফসল হতো না। এখন ক্যানেলটি খনন করে এখানে একটি স্লুইসগেট নির্মাণ করার কারণে এই জমি গুলো আবাদি হয়েছে। ফলে এই এলাকার কৃষক নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে।
অপর দিকে ক্যানেলটি খনন এবং স্লুইস গেট নির্মাণ করতে গিয়ে অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য লিয়াকত আলীর ক্রয় করা উক্ত জমির ওপর থাকা মুল্যবান ৫টি কাঠের গাছের গোড়া থেকে মাটি সরিয়ে ফেলে। এতে গাছ গুলে মরে নষ্ট হয়ে যায়। লিয়াকত আলী জানান, মালিকানা জমিতে সরকারী কোনো স্থাপনা, রাস্তা, ব্রিজ অথবা স্লুইস গেট যাই করক জমি অধিগ্রন নীতিমালা মেনে করতে হবে। নীতিমালা অনুযায়ী জমির ক্ষতি হলে, মালিকের ক্ষতিপুরন দিতে হবে।
এখানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর নীতিমালার তোয়াক্কা না করে অবৈধ উপায়ে প্রকল্প গ্রহন করেছে। ফলে তার প্রায় ২৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে লিয়াকত আলীর অভিযোগ। এবিয়য়ে সাঘাটা উপজেলা প্রকৌশলী নয়ন রায় এর সাথে কথা হলে জানান, প্রকল্প কাজের বিষয়টি তার জানা নেই। কারণ এই উপজেলায় সাম্প্রকিত যোগদান করেছেন।