- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ২৪-৩-২০২৫, সময়ঃ সকাল ১০:৪৪
সাঘাটায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা, বিপণিবিতানে উপচে পড়া ভিড়
জয়নুল আবেদীন, সাঘাটা►
ঈদুল ফিতরের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় জমজমাট হয়ে উঠছে ফুটপাত থেকে শুরু করে ছোট-বড় মার্কেট ও অভিজাত বিপণিবিতানগুলো। সাধ ও সাধ্যের মধ্যেই পছন্দের নতুন পোশাকের সন্ধানে ক্রেতারা ছুটছেন এক দোকান থেকে আরেক দোকানে।
ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই মার্কেটগুলোতে লোকজনেরও কেনাকাটা বেড়ে চলেছে। দিনের শহরের গ্রামাঞ্চলের ক্রেতারা ভিড় করছে বিপণী বিতানগুলোতে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন শহর ও শহরতলী ক্রেতা-বিক্রেতারা। প্রতি বছরে ন্যায় এবার ঈদ বাজারে এসেছে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় সব পোশাক।
সাঘাটার শহরের বিভিন্ন বিপণী বিতান ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ সামনে রেখে উপজেলার সাঘাটা, বোনারপাড়া, উল্যা ভরতখালী, জুমারবাড়ী, বারকোনাসহ ছোট-বড় সব বাজারের দোকানগুলোতে দেশীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আধুনিক ডিজাইনের সব ধরনের পোশাক রয়েছে। এছাড়া পাঞ্জাবি, শার্ট, গেঞ্জি, ফতোয়া, থ্রি-পিস, টুপিস ও শিশুদের জন্য সব ধরনের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে দোকানগুলোতে। ক্রেতাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ছোট ছোট বাচ্চারা ঈদের আনন্দকে পরিপূর্ণ করার জন্য কার আগে কে সুন্দর পোশাকে নিজেকে উপস্থাপন করবে এ প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত।
সাঘাটা বাজারের টপফ্যাশানের মালিক ফয়সাল জানান, গত কয়েক বছর ভারতীয় পোশাকের একক আধিপত্য থাকলেও এবার চাহিদা বেড়েছে পাকিস্তানি পোশাকের। তিনি আরও জানান, ১৫ রমজানের পর থেকে ঈদের কেনাকাটা জমতে শুরু করেছে। তবে, এবছর ড্রেসগুলো দাম তুলনামূলক একটু বেশি পড়ছে। গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা। ক্রেতাদের পদচারণা গভীর রাত পর্যন্ত সরগরম হয়ে উঠেছে প্রতিটি মার্কেট।
উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের পবনতাইড় থেকে এসেছেন মোছা. সাবিনা খাতুন নামের গৃহীনী। তিনি জানান, টপফ্যাশান থেকে ৫ বছর বয়সের বাচ্চা ও নিজের জন্য জামা কিনেছেন সাড়ে ৪ হাজার টাকায়। গত বছর এ জামার দাম ছিল ৩ হাজার ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার দেশীয় পণ্যের চাহিদা অনেক বেশি। তবে ভারতের জামা কাপড়ের চাহিদা কমেছে। এখন পাকিস্তানের জামা-কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। অন্য বছরের তুলনায় পোশাকের দাম ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে রয়েছে দাবি করলেও ক্রেতারা বলছেন দাম বেড়েছে।