• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২৪-১-২০২৪, সময়ঃ বিকাল ০৫:০৫

শীত উপেক্ষা করে বোরো চাষে ব্যস্ত সাঘাটার কৃষকেরা



সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশাকে উপক্ষো করে জমি তৈরি ও বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোরো চাষিরা। কৃষকদের আশা, আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার তারা বাম্পার ফলন পাবেন। 

গত বছরের তুলনায় এ বছর বাজারে ধানের দাম কিছুটা বেশি থাকায় উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ইরি-বোরো ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। ফলে জেলা উপজেলার গ্রামাঞ্চলে আবাদি ও অনাবাদি জমিতে ব্যাপকহারে ধান চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।

এদিকে শ্যালো মেশিন কিংবা বৈদ্যুতিক পাম্পের সাহায্যে জমিতে পানি সেচ দিয়ে ধান রোপণের জন্য জমি উপযোগী করে তুলছেন বেশির ভাগ কৃষক। লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ পদ্ধতি এখন খুব একটা চোখে পড়ে না। অধিকাংশ জমিতে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে জমি চাষ করা হচ্ছে। বীজতলা তৈরি ও জমিতে রোপণের জন্য ধানের চারা উত্তোলনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন চাষিরা। 

তবে সারা দেশে ধানের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান আবাদ বাড়ছে বলে জানান স্থানীয় চাষিরা। সাঘাটা উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে সাঘাটা উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৯২৫ হেক্টর জমিতে।

সরেজমিন তথ্য সংগ্রহকালে সাঘাটা উপজেলা ঘুড়িদহ, মথরপাড়া, যাদুরতাইড়সহ বিভিন্ন গ্রামের মাঠে মাঠে দেখা যায় ইরি-বোরো রোপণ করছেন চাষিরা। মাঠে মাঠে পুরোদমে বোরো ধান রোপণ শুরু হয়েছে।

স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ বছর জমিতে তারা বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের ধান রোপণ করছেন। অনেকে শ্রমিকের সাথে নিজেরাও বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত রয়েছেন। সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ  গ্রামের কৃষক শাহজামাল সাবু, আবুল কালাম,হাবিজার রহমান সহ অনেক কৃষকই জানান, এবার বিঘাপ্রতি ২০ কেজি ডেপ, ১২ কেজি পটাস, ৫ কেজি জিপসাম এবং ৫ থেকে ৭ ভ্যান গোবর সার মিশিয়ে জমিতে পানি দিয়ে কাঁদা তৈরি করছেন তারা। পরে বীজতলা থেকে চারা এনে সেই জমিতে রোপণ করছেন। এরই মধ্যে প্রায় ১০-১৫ শতাংশ জমিতে চারা রোপণ শেষ হয়েছে।

সাঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাদেকুজ্জামান বলেন, বোরো ধান রোপণের শুরু থেকে কাটা ও মাড়াই পর্যন্ত সময় লাগে ৯০ থেকে ৯৫ দিন। কাটামাড়াই পর্যন্ত বোরো চাষিদের খরচ হয় প্রায় ৭ থেকে ৯ হাজার টাকা। গেলো বোরো মৌসুমে ধানের দাম বেশি পাওয়ায় এবারও দাম ভালো পাওয়ার আশায় আছেন চাষিরা।

তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যেই ৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপন করা হয়ে গেছে। এ বছর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রোপণ হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান।