- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ১২-৭-২০২৩, সময়ঃ সকাল ০৯:১০
রৌমারী ও রাজীবপুরে নদী ভাঙনে বিলীন ৭০ বসতভিটা
রৌমারী প্রতিনিধি ►
রৌমারী ও রাজীবপুরে ব্রহ্মপুত্র নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে ৭০ বসতভিটা। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে আরও কয়েকশ পরিবার। এ ছাড়া হুমকির মুখে রয়েছে আবাদি জমি, স্থানীয় বাজার, মসজিদ, শিাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা। ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিন দেখা গেছে, ব্রহ্মপুত্রে পানি বাড়তে থাকায় চরশৌলমারী ইউনিয়নের ঘুঘুমারী এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক মাসে ৩৫টি বসতবাড়ি, আবাদি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে চর খেদাইমারী, চর ইটালুকান্দা, চর গেন্দার আলগা, ফলুয়ার চর, পালেরচর, কান্দাপাড়া, দিঘলাপাড়া ও ধনারচর পশ্চিমপাড়া এলাকা। এ ছাড়া রাজীবপুর ইউনিয়নের কোদালকাটি ইউনিয়নের সাজাই বাজারপাড়ায় ২০টি বসতভিটা ও পাইকান্টারী এলাকায় ১৫ বসতভিটা, ফসলি জমি, বিভিন্ন স্থাপনা ব্রহ্মপুত্রে বিলীন হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব এলাকায় নামমাত্র জিও ব্যাগ ফেলে দায় সারে কর্তৃপক্ষ।
চরশৌলমারী ইউনিয়নের চর গেন্দার আলগা গ্রামের ছকিনা খাতুন বলেন, তাঁর বসতবাড়ি ও গাছপালা সবই ব্রহ্মপুত্রে চলে গেছে। তাঁর নিজের কোনো জমি না থাকায় পাশেই অন্যের জমিতে ঠাঁই নিয়েছেন এবং সেখানে ছাপড়া ঘর তৈরি করে বাস করছেন।
চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএইচএম সাইদুর রহমান বলেন, তাঁর ইউনিয়নে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ঘুঘুমারী গ্রামটি বিলীনের পথে। গত এক মাসে ৩৫টি বসতবাড়ি নদে চলে গেছে। তিনি জানান, এখনও সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। তবে গ্রামবাসী ও ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। তাঁর দাবি, গত তিন বছরে ঘুঘুমারী এলাকার ৩০০ বসতভিটা ব্রহ্মপুত্রে চলে গেছে।
ভাঙনকবলিত এলাকায় খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়েছেন রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা আছে। ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে লোক পাঠানো হবে। তিনি জানান, কীভাবে ভাঙন রোধ করা যায়, সেই ব্যবস্থা করা হবে। রাজীবপুরের কোদালকাটি ইউনিয়নে তিন কিলোমিটার এলাকায় ভাঙনরোধে কাজ চলমান।