• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৯-৯-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৪:৪০

মানবিকতা প্রতিষ্ঠার জন্য রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে-নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী



সুলতান মাহমুদ চৌধুরী, দিনাজপুর ►

অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের গুরুত্বারোপ করে উল্লেখ করে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা  মানবতায় বিশ্বাস করে থাকি তাহলে বলব মানবতা আছে এবং থাকবে।‘স্বামী বিবেকানন্দের বাণী হচ্ছে বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, মানুষকে সহায়তা করা। মানবিকতা প্রতিষ্ঠার জন্য রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। 

আজ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে দিনাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশনের শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন ।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন রক্ত দিয়ে হলেও দেশের মানুষের ঋণ পরিশোধ করে যাব। কী শ্রদ্ধাবোধ ছিল মানুষের প্রতি। এই শ্রদ্ধা কী আমরা দেখাতে পেরেছি? তিনি শুধু নন পুরো পরিবার দেশের জন্য জীবন দিয়ে গেছেন। তাই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার জন্য স্বামী বিবেকানন্দের ভাবাদর্শ সঙ্গে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রেখে তিনি আরও বলেন, ‘সব ধর্মের মানুষ এক না হলে কখনো মানবতা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। মহানবী হযরত মুহম্মদ সা. এর মানবতার কথা বলে গেছেন। মহানবী (সা.) শুধু ইসলামের ছিলেন না। তিনি ছিলেন মানবতাবাদী নবী। অন্যদিকে রামকৃষ্ণ কত বড় মানুষ হলে তার একজন শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ হতে পারে। এই স্বামী বিবেকানন্দ কী সুনির্দিষ্ট ধর্মের কথা বলেছেন? না, তিনি মানবতার কথা বলেছেন। তিনি সব মতকে গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন ‘যত মত তত পথ’।

নৌ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘স্বামী বিবেকানন্দ মাত্র ৩৯ বছর বেঁচে ছিলেন, অথচ তিনি মানুষের মাঝে ঈশ্বরকে খোঁজে পেয়ে বিশ্বে মানবতা ছড়িয়ে দিয়েছেন। আজ থেকে ১৫ বছর আগে এখানে রামকৃষ্ণ মিশনের কী অবস্থা ছিল? কেন বদলেছে? শুধু এই রামকৃষ্ণই নয় সমগ্র বাংলাদেশ আজ বদলে গেছে। কারণ, আমাদের মানবিক প্রধানমন্ত্রী আছেন। তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে লালন করেন’, যোগ করেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

বাংলাদেশের উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের প্রসঙ্গে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গত কয়েকদিন আগে একটি ঘরোয়া আলোচনা হয়েছিল। আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল কী হবে বাংলাদেশের। আমি বলেছি কী হবে জানি না। তবে আমাদের হাত থেকে কেউ মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে পারবে না, কেউ ইন্টারনেট কেড়ে নিতে পারবে না। কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিনামূল্যে ওষুধ কেউ প্রত্যাহার করতে পারবে না। উপবৃত্তি কেউ প্রত্যাহার করতে পারবে না। ঢাকা থেকে (স্থলপথে) দিনাজপুরের ৫ ঘণ্টার যে ব্যবধান তা কেউ বাড়াতে পারবে না। এই যে যোগাযোগ ব্যবস্থা-পঞ্চগড় থেকে টেকনাফ পর্যন্ত রেলযোগ কেউ বন্ধ করতে পারবে? ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কেউ বন্ধ করতে পারবে? ফ্লাইওভার বন্ধ করতে পারবে? মেট্রোরেল বন্ধ করতে পারবে? কেউ পারবে না। কারণ, শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সেই জায়গায় নিয়ে গেছেন।’

অনষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভারতের আলমোড়ার রামকৃষ্ণ কুটীরের অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুবেশানন্দজী মহারাজ। স্বাগত বক্তব্য দেন নারায়ণগঞ্জ রামকৃষ্ণ আশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী একনাথানন্দ মহারাজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনোজ কুমার রায়, দিনাজপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা, দিনাজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলওয়ার হোসেন, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, রংপুর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী সন্ততানন্দ মহারাজ প্রমুখ।