• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৩-৪-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৫:০৩

মমতা প্রকল্পের মতবিনিময় সভায়



নিজস্ব প্রতিবেদক ►

গাইবান্ধার রাধাকৃষ্ণপুরস্থ এসকেএস ইনের অডিটোরিয়াম রুমে মমতা প্রকল্পের মতবিনিময় সভায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

এসকেএস ফাউন্ডেশন, একটি এনজিও, সেভ দ্য চিলড্রেন, বাংলাদেশের মাধ্যমে কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির অর্থায়নে প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। এতে এসকেএস ফাউ-েশনের ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম-এর পরিচালক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ এবিএম আবু হানিফ এবং সম্মানীয় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক দেওয়ান মোর্শেদ কামাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা পরিবার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) প্রসেনজিৎ প্রণয় মিশ্র। এছাড়াও মমতা প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ গণমাধ্যম কর্মীগণও এতে অংশ নেন। এর আগে প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রম এবং এর অগ্রগতি সম্পর্কে পাওয়ার পয়ন্টে প্রেজেন্টেশন করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী বাহরাম খান।

“গ্রামীণ গর্ভবতী মহিলারা প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের চেয়ে হোম ডেলিভারি পছন্দ করে, ফলে মা ও শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকে। মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে যেভাবেই হোক প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও, সমস্ত গর্ভবতী মা এবং নবজাতক শিশুদের জন্য অ্যান্টি-নেটাল কেয়ার (এএনসি) এবং প্রসবোত্তর যত্ন (পিএনসি) এর উপরও জোর দেওয়া উচিত”, বলে বক্তারা মনে করেন। সভায় উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের অনেক সুপারিশও গৃহীত হয়।

রংপুর বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ এবিএম আবু হানিফ বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মৃত্যুর হার প্রতি লাখে ৭০-এ নিয়ে আসার লক্ষ্যে প্রকল্পের কর্মীদের তাদের পেশাগত সেবা প্রদানে আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান।
বৈঠকে মমতা প্রকল্পের সিনিয়র ম্যানেজার খালেদা হাবিব, সেভ দ্য চিলড্রেন, বাংলাদেশসহ প্রকল্পের অন্যান্য কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাংবাদিকরা অংশ নেন।

উল্লেখ্য, যে জেলাটি যেহেতু মাতৃস্বাস্থ্যের বেশিরভাগ সূচকে পিছিয়ে রয়েছে, যেমন এএনসি ভিজিট, মা ও নবজাতকের জন্য পিএনসি, পরিবার এবং সম্প্রদায়ের স্তরে মানসম্পন্ন মা, নবজাতকের স্বাস্থ্য-পরিবার পরিকল্পনা পরিষেবার অ্যাক্সেস নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জেলার চারটি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।