• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১২-৭-২০২৩, সময়ঃ সন্ধ্যা ০৬:০২

ভাঙন আতংকে চরবাসির নির্ঘুম রাত



সুুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি ►

টানা  বর্ষন এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন আতংকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছের তিস্তা পারের মানুষ। গত ১৫ দিনের ব্যাবধানে হরিপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের দেড়শত পরিবারের বসতবাড়ি, শতাধিক একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পরেছে হাজারও পরিবার এবং ফসলি জমি। নদী পাড়ের মানুষজন রাত জেগে বসতবাড়ি পাহারা দিচ্ছে এবং অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। ভাঙন ঠেকাতে জিও টিউব ও জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার পানি বর্তমানে বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে উপজেলার হরিপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের তথ্য মতে গত ১৫দিনের ব্যবধানে ১৫০টি পরিবার এবং ২০০ হেক্টর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। উজানের ঢলে নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ায় কমপক্ষে ৫০০পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে।

হরিপুরের কাশিমবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াহেদ জানান, পানি বাড়ার সাথে সাথে ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যে কাশিমবাজার এলাকায় শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে হাজারও পরিবার। অনেক পরিবার তাদের বসতবাড়ি সরিয়ে নিতে দিন রাত কাজ করছে। 

কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনজু মিয়া জানান, তার ইউনিয়নের কমপক্ষে পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি ৭৫টি পরিবার নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে হাজারও পরিবার । যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। 
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিকট হতে পানিবন্ধি ও নদী ভাঙনের শিকার পরিবারদের তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। 

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান, ভাঙন ঠেকাতে হরিপুর ইউনিয়নের কাশিমবাজার এলাাকায় জিও টিউব ও জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।    

উপজেলা নিবার্হী মোহাম্মদ নূর-এ আলম জানান, উপজেলার হরিপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নে তিস্তার ভাঙন দেখা দিয়েছে। চেয়ারম্যানদের তথ্য মোতাবেক দুই ইউনিয়নে দেড়শত পরিবার নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে অনেক পরিবার। ভাঙন কবলিত পরিবাগুলোকে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।