- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ৯-২-২০২৪, সময়ঃ সকাল ০৯:৩১
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জনের পথেই হাঁটছে
মাধুকর ডেস্ক ►
বিএনপি জাতীয় সংসদের মতো উপজেলার ভোটেও বর্জনের পথে হাঁটছে। নির্বাচন ঘিরে কোনো উত্তাপ নেই দলটিতে। আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনাও নেই রাজপথের প্রধান এই বিরোধী দল ও সমমনাদের মধ্যে। দলীয় মনোনয়ন বা সমর্থন পেতে নেই কোনো তোড়জোড়। মামলা-হামলায় বাড়িছাড়া তৃণমূল নেতাকর্মীর মধ্যেও এই নির্বাচন নিয়ে নেই তেমন কোনো আগ্রহ। হাইকমান্ডও রয়েছেন আগের সিদ্ধান্তে অটল। বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না তারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, তারা বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবেন না বলে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সেখানে তারা অটল রয়েছেন। তাঁর মতে, ৭ জানুয়ারির মতো নির্বাচনী খেলায় অংশ নেওয়ার কোনো মানে নেই। এ ধরনের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে শুধু নেতাকর্মী নয়, সাধারণ জনগণও আগ্রহ হারিয়েছে।
বিএনপি নেতাকর্মীর দাবি, সারাদেশে একেবারে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত নেতাকর্মীরা মামলা-হামলা আর কারা নির্যাতনে বিপর্যস্ত। এমন কোনো নেতা নেই, এমন কোনো কর্মী নেই যার বিরুদ্ধে মামলা নেই। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সারাদেশে দলের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন চলেছে। ২৭ হাজারের বেশি নেতাকর্মীর কারাগারে যেতে হয়েছে। এখনও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেক জ্যেষ্ঠ নেতা কারাবন্দি রয়েছেন।
তাদের মতে, যারা জামিনে মুক্ত হয়েছেন, তারা এখনও কারাগারের ‘ট্রমা’ কাটিয়ে উঠতে পারেননি। অনেকের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকে কর্মহীন। স্থানীয় নেতারা তাদের কর্মীদের মামলা পরিচালনা কিংবা কারামুক্ত করতে হিমশিম খাচ্ছেন। এ অবস্থায় আরেকটি নির্বাচনী কর্মযজ্ঞে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি বেশির ভাগেরই নেই। দল যদি নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্তও নেয়, তার পরও অনেক স্থানে প্রার্থী পাওয়া যাবে না বলে তারা মনে করছেন।
২০২১ সালের মার্চের পর সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যায়নি বিএনপি। বরং দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের অনেক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এর মধ্যে ২০২২ সালে বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার ও মনিরুল হক সাক্কু নারায়ণগঞ্জ এবং কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় তখন তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও অনেক নেতা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় একই ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় দলটি। যাদের বেশির ভাগ নেতা নিজেদের ভুল স্বীকার করে দলে ফেরার আবেদন করেও ফিরতে পারছেন না।