- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ১-৪-২০২৩, সময়ঃ সন্ধ্যা ০৬:১৪
বাংলাদেশে এখন মূর্তিমান আতঙ্কের নাম আওয়ামীলীগ-সৈয়দা পাপিয়া
শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর ►
বাংলাদেশে এখন মূর্তিমান আতঙ্কের নাম আওয়ামীলীগ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়া।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, নানামুখী অন্যায় অত্যাচারে নিষ্পেষিত সর্বস্তরের মানুষ আজ প্রতিমূহুর্তে আতকে উঠে বলে 'ওরে বাবা আওয়ামীলীগ'। শেখ হাসিনার প্রতিহিংসা পরায়ণ মানসিকতার জন্যই মানুষ চরমভাবে ভুক্তভোগী হওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি নীলফামারীর সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপি'র উদ্যোগে কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুযায়ী অবস্থান কর্মসূচী পালনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। শনিবার (১ এপ্রিল) বিকাল ৪ টায় সৈয়দপুর শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।
এসময় সাবেক এমপি পাপিয়া বলেন, ভোট চোর হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পূজি করে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে মানবাধিকার কেড়ে নিয়ে একদলীয় বাকশালী শাসন কায়েম করেছে। সংবিধানের দোহাই দিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল ব্যবস্থাকে কুক্ষিগত ও লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে দেশ ও জনবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। একের পর এক অন্যায় অবিচার অব্যাহত রেখে মানুষকে ভীত সন্ত্রস্ত করে কোণঠাসা করে রেখেছে।
তিনি বলেন, তবে জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে। তাই তারা মুখ খুলতে শুরু করেছে। এজন্য প্রথম আলোর মত সরকারের তোষামোদকারী পত্রিকায়ও দ্রব্য মূল্য নিয়ে সত্য সংবাদ প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনার নীতি হলো তার সকল কাজের সমর্থন করলে দেশপ্রেমিক আর বিরোধিতা করলেই দেশদ্রোহী। তাই ওই সাংবাদিককে কালা কানুনে গ্রেফতার করেছে।
পাপিয়া আরও বলেন, শেখ হাসিনা বাপের বেটি হয়ে থাকলে নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে দেখেন। নয়তো হাসিনার অধীনে বিএনপি কোন নির্বাচনে যাবেনা, করতেও দেয়া হবেনা। কেউ এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে তাদের মাথার চুল ও পিঠের চামড়া থাকবেনা। রমজানের পরই চুড়ান্ত যুদ্ধ শুরু হবে। তখন আওয়ামীলীগ নেতারা পালানোর পথ খুঁজে পাবেনা। তাই তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন যার যা গোছানো দরকার এখনই গুছিয়ে নেন।
দুই ঘন্টা ব্যাপী অনুষ্ঠিত কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন সৈয়দপুর জেলা বিএনপি'র সভাপতি অধ্যক্ষ আলহাজ্ব আব্দুল গফুর সরকার। জেলা সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর শাহিন আক্তার শাহিনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা কমিটির সিনিয়র নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট এস এম ওবায়দুর রহমান, প্রভাষক শওকত হায়াত শাহ, সাবেক প্যানেল মেয়র জিয়াউল হক, অন্যতম নেতা আব্দুল খালেক, শফিকুল ইসলাম জনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রামাণিক, মানোয়ার হোসেন, এম এ পারভেজ লিটন।
অন্যদের বক্তব্য রাখেন, সৈয়দপুর উপজেলা সভাপতি রেজাউল করিম লোকমান, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান কার্জন, কিশোরগঞ্জ উপজেলা সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক ডালিম, পৌর সভাপতি আলহাজ্ব রশিদুল হক সরকার, সাধারণ সম্পাদক শেখ বাবলু প্রমুখ।
গ্যাস, বিদ্যুৎ, চাল, ডাল, আটাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও সার, ডিজেলসহ কৃষি উপকরণের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার, ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও নেতাকর্মী মুক্তিসহ ১০ দফা দাবী আদায়ে এই অবস্থান কর্মসূচী পালন করা হয়।