- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ১৯-৬-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৩:৩২
ফুলবাড়ীতে নাক বিহীন এক চোখা বাছুরের জন্ম
ধীমান চন্দ্র সাহা, ফুলবাড়ী ►
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়নের গোকুল গ্রামে শ্রী পঙ্কজ বর্মনের বাড়ীতে নাক বিহীন এক চোখা ভয়ঙ্কর রুপী এক গরুর বাছুরের জন্ম হয়েছে। মাথার ওপরে রয়েছে তার কপাল। নাক না থাকায় মুখ দিয়েই চলছে শ্বাস-প্রশ্বাসের কার্যক্রম।
ঘটনাটি জানাজানির পর থেকে অদ্ভুদ প্রকৃতির নাক বিহীন এক চোখা গরুর বাছুরকে দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে উৎসুক জনতার ভিড় জমছে পঙ্কজ বর্মনের বাড়ীতে।
ফুলবাড়ী উপজেলা সদর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার পশ্চিমে উপজেলার ২নং আলাদিপুর ইউনিয়নের গোকুল গ্রামের পঙ্কজ বর্মনের বাড়ীতে রবিবার (১৮ জুন) বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, নাক বিহীন, মাথার ওপরে এক চোখা অদ্ভুদ আকৃতির গরুর বাছুরটি আঙ্গীনার মাটিতে শুয়ে আছে। বাছুরটির চার পা ও লেজসহ অন্যান্য শারীরিক গঠন স্বাভাবিক থাকলেও মাথার উপরে কপাল। সেই কপালেই রয়েছে একটি চোখ। নাক না থাকায় মুখ দিয়েই চলছে শ্বাস-প্রশ্বাসের কার্যক্রম। ভয়ঙ্কর রুপী বাছুরটিকে দেখার জন্য পঙ্কজ বর্মনের বাড়ীতে ভিড় জমছে উৎসুক জনতার। তবে গরুর মালিক পঙ্কজ বর্মন মা গরু থেকে দুধ সংগ্রহ করে বোতলে ভরে জন্মনেয়া অদ্ভুদ আকৃতির বাছুরকে খাওয়াচ্ছেন।
গরুর মালিক পঙ্কজ বর্মন বলেন, তার বাড়ীতে দু’টো গাভীর মধ্যে একটি বর্ভবর্তী হওয়ার প্রায় দশমাস পূর্বে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকে ডেকে গরুটিকে শাহীওয়াল জাতের গরুর ভেক্সিন প্রয়োগ করান। ওই গরুটি গত শনিবার (১৬ জুন) বিকেলে প্রসব ব্যাথা উঠার কিছুক্ষণ পরেই স্বাভাবিক নিয়মে একটি বাছুর জন্ম দেয়। লাল রংয়ের জন্ম নেওয়া বাছুরটির শারীরিক আকার আকৃতি স্বাভাবিক থাকলেও ব্যতিক্রম হয়েছে তার নাক নেই, কপালের ওপরে একটি মাত্র চোখ রয়েছে। মুখ দিয়েই চলছে বাছুরের শ্বাস-প্রশ্বাস। দেখতে অদ্ভুদ ভয়ঙ্কর। যেকেউ প্রথম দেখলে ভয় পেয়ে যাবে। বাছুরের এমন দৃশ্য দেখে গরুর মালিকসহ তার পরিবারের লোকজন অবাক ও হতভম্ব হয়ে পড়েছেন।
পঙ্কজ বর্মনের বাড়ীতে বাছুরটি দেখতে আসা প্রতিবেশি শিল্পী রানী, বাবলু চন্দ্র মন্ডল ও দুলাল চন্দ্র বলেন, পঙ্কজ বর্মনের বাড়ীতে অদ্ভুদ আকৃতির গরুর বাছুর জন্ম নিয়েছে এমন কথা জানার পর বাছুরটি দেখতে এসেছেন। এমন অদ্ভুদ আকৃতির বাছুর এর আগে কখনো দেখা যায়নি। এটি একটি সৃষ্টির লীলাখেলা।
স্থানীয় ধাত্রী নন্দ রানী বলেন, গরুটির প্রসব ব্যাথা উঠলে তাকে খবর দেওয়া হয়। তিনি এসে গরুটির প্রসব করান। জন্ম নেওয়া বাছুরটি ভয়ঙ্কর চেহারা দেখে তিনিও প্রথমে ভয় পেয়ে যান। এমন ভয়ঙ্কর চেহারা ও আকৃতির বাছুর কোনোদিন দেখেননি। এটিও সৃষ্টির খেলা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এটি একটি জেনেটিক্যালি ব্যতিক্রম ঘটনা। মানুষের ক্ষেত্রেও যেমন প্রতিবন্ধী শিশু জন্ম নিয়ে থাকে, তেমনি গাভীর বাছুরটির ক্ষেত্রেও এমন ঘটনা ঘটেছে। বাছুরটি এখনও বেঁচে আছে, তবে শেষতক কতক্ষণ বাঁচবে তা বলা মুশকিল।