- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ৭-১-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৫:৫৫
ফুলবাড়ীতে তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন
ধীমান চন্দ্র সাহা, ফুলবাড়ী ►
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে আইন অমান্য করে তিন ফসলি জমির শ্রেণি পরিবর্তনের মাধ্যমে পুকুর খনন করা হচ্ছে। এতে কমে আসছে ফসলি জমির পরিমাণ, ঝুঁকিতে পড়ছে খাদ্য উৎপাদন। অনুমতি ছাড়া জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না এমন আইন বিদ্যমান থাকলে সেই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফসলি জমি ধ্বংস করে চলছে পুকুর খনন।
জানা যায়, জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি ক্রমান্বয়ে কমছে ফসলি জমি। আইন আনুযায়ী ইচ্ছে করলেই কেউ তার নিজের ফসলি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করতে পারবেন না। জমির শ্রেণি পরিবর্তন করতে হলে জেলা প্রশাসকের অনুমতি নেওয়ার বিধান রয়েছে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা রয়েছে আবাদি জমি খনন করে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। কিন্তু সরকারের প্রচলিত আইন এবং প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা কোনোটিও কার্যকরী হচ্ছে না ফুলবাড়ীতে। ফলে ইতোমধ্যে বেশ কিছু এলাকায় ফসলি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে পুকুর খনন করা হয়েছে এবং হচ্ছে।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে ফুলবাড়ী উপজেলার ৫নং খয়েরবাড়ী ইউণিয়নের নারায়ণপুর পূর্ব মহেশপুর এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকার মৃত আজমল হোসেনের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম তার তিন ফসলি জমিতে ভেকু লাগিয়ে মাটি খননের মধ্যেমে পুকুর তৈরির কাজ করছেন। সেই মাটি আবার ট্রলিতে করে বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন এলাকার ইটভাটাগুলোতে। এতে করে প্রচলিত আইন অমান্য করে এক দিকে যেমন ফসলি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হচ্ছে, তেমনি জমির টপ সয়েল চিরতরে ধ্বংস করা হচ্ছে।
ফসলি জমিতে পুকুর খননকারি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, মাত্র ২০ শতাংশ জমিতে ছোট এটি পুকুর খনন করা হচ্ছে বাড়ী লোকজনের মাছ খাওয়ার জন্য। জমিতে পুকুর খননের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা জানেন। তবে শুধু তিনিই নন, এলাকায় অনেকেই ফসলি জমিতে পুকুর খনন করছে।
খয়েরবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, ফসলি জমিতে পুকুর খননের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা নিয়ে পুকুর খননকারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
খয়েরবাড়ী ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রেজওয়ানুল হাসান বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশ মোতাবেক ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিন তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ওয়াসিকুল ইসলাম বলেন, ফসলি জমিতে পুকুর খননের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে সরেজমিন তদন্তপূর্বক আইন অমান্য করে ফসলি জমি ধ্বংস করে পুকুর খননকারীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।