- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ১৪-৫-২০২৪, সময়ঃ বিকাল ০৪:০০
পলাশবাড়ীতে ৫ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো
সোহেল রানা, পলাশবাড়ী►
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের গনকপাড়া গ্রামের সীমানা ঘেঁষে বয়ে যাওয়া মচ্চ নদীর অলিরঘাট পারাপারে একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো।
৫ গ্রামের মানুষের পারাপারে একটি ব্রিজের অভাবে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের ভোগান্তি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি একটি সেতু নির্মাণের।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সীমানা ঘেঁষে যাওয়া প্রায় ৪০ বছরের পুরানো গনকপাড়া গ্রাম সীমানা সংলগ্ন মচ্চ নদীর অলির ঘাট। নদীর ঘাট হতে ঘাটের কিনারা অনেক উচ্চতা (উঁচু) হওয়ায় নদী পারাপারে ভ্যান, রিক্সা, বাইক, সাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে পারে না।
আর এ কারণে পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের গনকপাড়া, জাফর, মুংলিশপুর,পালপাড়া, শীলপাড়া, জাইতরসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ এপার থেকে ওপারে চলাচলের জন্য তাদের শুকনা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো আর বর্ষা মৌসুমে নৌকা ছাড়া পারাপারে ভোগান্তির যেন শেষ নেই।
নদীর পানি শুকিয়ে গেলে চলাচলের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে বাঁশের সাকো তৈরি করা হয় এবং নদীতে পানি বেড়ে গেলে পারাপারের জন্য নৌকার কোন ব্যবস্থা থাকেনা। তখন সাধারন মানুষের ভোগান্তি আরো বেড়ে যায়। প্রতিদিন যাতায়াত করা স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রী, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবি, এনজিওকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ চলাচল করে থাকেন এই অলিরঘাট দিয়ে।
বছরের পর বছর পেড়িয়ে গেলেও আজও একটি ব্রীজ নির্মাণ হয়নি। এ ভোগান্তি যেন পথচারীদের নিত্যদিনের সঙ্গী। অলিরঘাট হতে ঘাট পেড়িয়ে পাশ্ববর্তী ঘোড়াঘাটে দুরুত্ব ২ কিলোমিটার যাতায়াতের বিকল্প রাস্তা ব্যবহারে ২ কিঃমিঃ এর স্থলে পথচারীদের ঘুরতে হয় অন্তত ৮ কিলোমিটার রাস্তা।
এই ঘাট দিয়ে প্রতিনিয়ত অসংখ্য ছাত্রছাত্রী,কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশা মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়। পথচারীরা এই ঘাট পারাপার হয়ে বৃহত্তর হাটবাজারগুলোতে যাতায়াত করে থাকেন। সাধারণ মানুষের দাবী এই গুরুত্বপুর্ণ স্থানে একটি ব্রীজ নির্মাণের।
স্থানীয় বাসিন্দা তৌহিদুল ইসলাম,ইয়াকুব আলী,বদরুল আলম জানান,আশে পাশের গ্রামের মানুষও এই ঘাট দিয়ে পার হয়।বিশেষ করে আমাদের গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ পার্শ্ববর্তী ঘোড়াঘাট ব্যবসা বানিজ্য ও হাট-বাজার করে।তারা অন্য ঘাট দিয়ে পার হয়ে গিয়ে দুপুরে বাড়িতে যখন আসে তখন নদীর ওই পারে গাড়ী,সাইকেল রেখে আসতে হয়। শুকনা মৌসুম বাশের সাঁকো আর বর্ষা মৌসুমে পারাপারের কোন ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যা পোহাতে হয়।এখানে একটি সেতু নির্মাণ খুব দরকার।তাই উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
কিশোরগাড়ী ইউপি সদস্য আলমগীর জানান, এই এলাকার মানুষের পারাপারে জন্য একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হলে সবার অনেক উপকার হবে।তখন আর কারো সমস্যায় পড়তে হবে না।মানুষের যাওয়া আসা অনেক সহজ হবে।
পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন জানান, যাতে মানুষের ভোগান্তি দুর হয় তার জন্য আমরা প্রস্তাবনা পাঠাবো যাতে ওখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ হয়।