• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৩-১১-২০২২, সময়ঃ দুপুর ০১:৩৪

পলাশবাড়ীতে মরিচা ধরেছে শিক্ষকদের ডিজিটাল হাজিরা মেশিন



পলাশবাড়ী প্রতিনিধি ►

সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বায়োমেট্রিক হাজিরা সিস্টেম (ডিজিটাল হাজিরা মেশিন) চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশের ন্যায় গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় ৯টি ইউনিয়নে সেসময় ২১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ক্রয়ের শুরু করা হয়।

 উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এর মধ্যে ১১৫টি মেশিন ক্রয় করে ১১৫টি বিদ্যালয়ে সরবরাহ করা হয়। যা মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। ক্রয় তেও ব্যাপক অনিয়ম গ্রহণ করা হয়। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে এসব জিনিস ক্রয় করে বিদ্যালয়ে সরবরাহ করা হলেও আজ অবধি একটি মেশিনও চালু করতে সম হয়নি। তবে মেশিনটি কেনার ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো স্কুলে চালু না হওয়ায় কোটি টাকার সরঞ্জাম নষ্ট হতে চলেছে। 

এ ব্যাপারে সে সময়ে মেশিনটি ক্রয় নিয়ে পত্র-পত্রিকায় লেখা-লেখি হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপ কোনো তদন্ত করেও দেখেনি এবং দেখার চেষ্টাও করেনি। ডিজিটাল হাজিরা মেশিনের সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগ থাকবে। ফলে অফিসে বসে উপজেলা বা জেলার কর্মকর্তারা শিক্ষকদের নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া যেকোনো সময় পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে মেশিন কেনা হয়েছিল চালু না হওয়ায় সে উদ্দেশ্য বেস্তেতে গেছে। বেশ কিছু সরবরাহকৃত বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রধান শিক্ষককে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, যে রকম সিদ্ধান্ত সে রকম বরাদ্দ সেভাবেই বন্ধ হয়ে আছে। সঠিক জবাবদিহিতা না থাকায় সরকারের উদ্দেশ্য ভেস্তে গেছে।