• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২৯-৮-২০২৩, সময়ঃ সকাল ০৯:০২

পলাশবাড়ীতে চলাচলের একমাত্র ভরসা কাঠের সাকো



পলাশবাড়ী পৌর প্রতিনিধি ►

পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের মুংলিশপুর কুমারপাড়া গ্রামের চলাচলের রাস্তায় ব্রীজ অভাবে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসী। মুংলিশপুরের কুমারপাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা এখন কাঠের সাকো।

ভোগান্তি কমাতে এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে গত বছর দুই এক পূর্বে মানুষের সহযোগিতা নিয়ে কাঠের বাতি সংগ্রহ করে ওই ভাঙা জায়গায় কাঠের বাতি বিছিয়ে চলাচলের মত একটি সাকো দেয়। সাঁকোটি দেয়া হলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ চলাচল করছে।এলাকাবাসীর দাবী, দ্রুত একটি ব্রীজ নির্মাণের।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের মুংলিশপুর কুমারপাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ওই রাস্তা।আবার রাস্তার পাশ্ব দিয়ে বয়ে গেছে নদী।নদী ভাঙনে বসতবাড়ীর ভিটামাটি যাওয়ার সঙ্কায় রয়েছেন কুমারপাড়ার ওই সকল পরিবার গুলো।কুমারপাড়ার রাস্তা ভেঙে গর্তে পরিনত হওয়ায় ওই জায়গাতে নড়েবড়ে একটি কাঠের সাঁকো দেয় এলাকাবাসী।

নড়েবড়ে সাঁকো উপর দিয়ে চলাচলে বিভিন্ন শেনী পেশা মানুষের দূর্ভোগ-দুর্গতিও বেড়ে গেছে। ওই কাঠের সাকো পেড়িঁয়ে রাস্তা ধরে যেতে হয় জেলা,উপজেলা,স্কুল-কলেজ,হাট-বাজারে।এলাকাবাসী নড়েবড়ে কাঠের সাঁকোর উপর দিয়ে চলাচল করলেও ভারী কোন যানবাহন বা কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্য পারাপারে বিরম্বনা পড়ে থাকেন। এলাকাবাসীর দাবী দ্রুত একটি ব্রীজ নির্মানের।

কিশোরগাড়ী ইউপি সদস্য আলমগীর মিয়া ও বঙ্কিম চন্দ্র জানান,এই ভাঙা জায়গায় মানুষের চলাচলের জন্য একটি ব্রীজ দরকার। এখানে দ্রুত একটি ত্রানের বীজ নির্মানের দাবী জানাচ্ছি।

পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান জানান,আগামীতে বরাদ্দ এলে ওখানে ব্রীজ নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ জানান,সামনের বরাদ্দ এলেই দ্রুত ওখানে ব্রীজ নির্মানের ব্যবস্থা করবো।এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণ দরকার।আগামীতে বরাদ্দ এলেই ওখানে যাতে ব্রীজ নির্মাণ হয় আমরা সে ব্যবস্থা করবো।