- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ১১-৭-২০২৩, সময়ঃ সকাল ১০:৫৩
নতুন রূপে এক গম্বুজ মসজিদ
পলাশবাড়ী প্রতিনিধি ►
দেশের সবচেয়ে ছোট এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ, যা প্রাচীন ইসলামিক ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন। যা কালের সাী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এটি প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত একটি প্রতœতাত্ত্বিক স্থাপনা। অন্তত আড়াইশ’ বছরের পুরোনো এ মসজিদটি এক ক বিশিষ্ট। এর উপরিভাগে একটি গম্বুজ এবং চার কোণায় রয়েছে চারটি পিলার। প্রাচীন এ মসজিদটিতে একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন ইমামসহ চার থেকে পাঁচজন। মসজিদটির অভ্যন্তরে নামাজের জায়গা রয়েছে দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে মাত্র ছয় ফুট।
সেই পুরনো এক গম্বুজ মসজিদটি নতুন রূপে সেজেছে। স্থাপত্যটিকে ঘিরে শুরু থেকেই মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। কে কখন এটি নির্মাণ করেছেন, তার সঠিক কোনো তথ্য নেই। তবে এলাকায় জনশ্রুতি আছে, কয়েকশ’ বছর আগে এক রাতে অলৌকিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে মসজিদটি। কালের বিবর্তনে মসজিদটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে।
দীর্ঘদিন পর মসজিদটি সংস্কার করা হয়েছে। সম্প্রতি এর সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। রং করা হয়েছে। দেখে মনে হয়, নবনির্মিত মসজিদ। যা এক নতুনমাত্রা যোগ করেছে দর্শনার্থীদের মধ্যে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঐতিহাসিক এ মসজিদটি এক নজর দেখতে ভিড় করছেন কাছের ও দূরের উৎসুক মানুষ। তবে পাশেই বড় একটি মসজিদ নির্মিত হওয়ায় ছোট মসজিদটিতে নামাজ আদায় করা হয় না।
মসজিদটি জেলার পলাশবড়ী পৌর শহরের নুনিয়াগাড়ি গ্রামে অবস্থিত। এর পূর্বে রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক ও পশ্চিম পাশ দিয়ে গেছে পলাশবাড়ী-ঘোড়াঘাট সড়ক। দুই সড়কের ঠিক মাঝখানে নুনিয়াগাড়ী গ্রামের বুক চিড়ে নির্মিত পিচঢালা সড়কের দেিণ অবস্থিত ঐতিহাসিক এ মসজিদটি।
স্থানীয় কেরামত উল্লাহ মণ্ডলের ছেলে কাদিরবক্স ম-লের নামে মসজিদটি প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত হয়েছে। কিন্তু মসজিদটির নাম নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। এলাকাবাসীসহ তার বংশধরেরা বলছেন, তিনি এটি নির্মাণ করেননি।
ম-ল পরিবারের সদস্য মসজিদ কমিটির সাবেক সেক্রেটারি আব্দুল মতিন ম-ল জানান, মসজিদটি সংরণের জন্য জেলা-উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করা হয়। দীর্ঘ প্রতিার পর ২০১৩ সালের ২ জুন মসজিদটি সংরতি প্রতœতাত্ত্বিক সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ফলে মসজিদটি রংপুর বিভাগের মধ্যে প্রাচীন স্থাপত্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। তিনি আরও জানান, মসজিদটির স্মৃতি রায় এর পূর্ব পাশে নতুন বড় একটি মসজিদ নির্মিত হয়েছে। যেখানে নামাজ আদায় করা হয়।
মসজিদ কমিটির বর্তমান সভাপতি ডা. সায়াদ মিয়া জানান, প্রাচীন এ অনন্য নিদর্শন রায় যুগযুগ ধরে বিভিন্ন দপ্তরে সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছিল এলাকাবাসী। কিন্তু কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অবশেষে বর্তমান কমিটির উদ্যোগে স্থানীয়দের সহায়তায় ঐতিহাসিক এ মসজিদটি সংস্কার করা হয়।