• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২৫-১২-২০২২, সময়ঃ দুপুর ০২:৫১

নওগাঁর জিন্দাপীরতলা স্লুইচ গেট কালভার্ট আধুনিকায়ন হচ্ছে



নওগাঁ প্রতিনিধি ► 

বেহাল দশার পর অবশেষে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডিপুর গংগাকান্দি জিন্দাপীরতলা জনগুরুত্বপূর্ন গ্রামীণ স্লুইচ গেট কালভার্টটি। জমি অধিগ্রহনের জটিলতা কাটিয়ে কালভার্টটি আধুনিকায়ন করার জন্য ইতিমধ্যেই ১কোটি ২৮লাখ টাকার বরাদ্দ প্রদান করে দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। খুব দ্রুতই কালভার্টটি ভেঙ্গে আধুনিক মানের স্লুইচগেট সম্বলিত কালভার্ট নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে বলে জানান সদর উপজেলা প্রকৌশলী ছানোয়ার হোসেন।

চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় বাসিন্দা বেদারুল ইসলাম মুকুল বলেন, চন্ডিপুর গ্রামের জিন্দাপীরতলা ডারার উপর নির্মিত চন্ডিপুর গংগাকান্দি জিন্দাপীরতলা স্লুইচ গেট কালভার্টটি আনুমানিক আশির দশকে নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর থেকে দীর্ঘদিন কোন মেরামত কিংবা সংস্কার না করায় কালভার্টটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিলো। এই কালভার্টটির উপর দিয়ে গংগাকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ রাণীনগর উপজেলার বাহাদুরপুর, চকমুনু গ্রাম, ঐতিহ্যবাহী ত্রিমোহনী হাটের লোকজন, চুনিয়াগাড়ীসহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের বাসিন্দারা এই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়তই চলাচল করে। বিশেষ কৃষি প্রধান এলাকা হওয়ায় কৃষকদের উৎপাদিত সবজিসহ নানা ফসল পরিবহন করার এটিই ছিলো একমাত্র পথ। কিন্তু পথের মধ্য এই কালভার্টটি দীর্ঘদিন যাবত চলাচলের অনুপযোগি হওয়ার কারণে কৃষকদের দীর্ঘ পথ ঘুরে যেতে হতো যার কারণে কৃষকদের খরচও বেশি পড়তো। কিন্তু এই কালভার্টটি নির্মাণ করা হলে কৃষকদের খরচ অনেকটাই কমে যাবে। 

তিনি আরো বলেন আমি পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার অনেক আগে থেকেই কালভার্টটির মাঝের অংশ ভেঙ্গে যায় এবং পায়ে হেটে চলাও ছিলো অনেক ঝুঁকিপূর্ন। এরপর আমি কালভার্টটির উপর টিনের একটি পরিত্যক্ত ছাউনি দিয়ে কোনমতে চলাচলের একটি ব্যবস্থা করি। দীর্ঘদিন সংস্কার কিংবা মেরামত না করার কালভার্টটি বর্তমানে চলাচলের জন্য অনেক ঝুঁকিপূর্ন। এই কালভার্টটি মেরামত করতে অনেক টাকার প্রয়োজন ছিলো যা পরিষদের পক্ষ থেকে জোগান দেওয়া সম্ভব ছিলো না বলে আমি সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করি। অনেক আগেই কালভার্টটি আধুনিকায়ন হয়ে যেতো কিন্তু কালভার্টটি চন্ডিপুর ২নং ওয়ার্ড জিন্দাপীরতলা সুইচ রেগুলেটর সমিতির আওতায় ছিলো তাই কালভার্টটি সংস্কার করতে হলে ওই সমিতির একটি অফিস কক্ষ নির্মাণ করতে সমিতির নামে কালভার্টটি সংলগ্ন জমি প্রয়োজন ছিলো। এই জমি অধিগ্রহণের জটিলতার কারণে বছরের পর বছর আটকে ছিলো এই কালভার্টটির আধুনিকায়নের কাজ। অত্র অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য কালভার্টটি অনেক প্রয়োজন বলে আমি নিজেই আমার ৬শতাংশ জমি ওই সমিতির নামে দান করেছি। যার কারণে কালভার্টটি নতুন করে নির্মাণ করার জন্য ইতিমধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আমি আশাবাদি চলতি সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে আর চরম দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবে অত্র অঞ্চলের পথচারীরা।

সদর উপজেলা প্রকৌশলী ছানোয়ার হোসেন বলেন, ইতিমধ্যই কালভার্টটি আধুনিকায়ন করার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্য কালভার্টটির সকল কাজ শেষ করার বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে হুশিয়ারী প্রদান করা হয়েছে। অতিদ্রুতই অত্র অঞ্চলের বাসিন্দা ও পথচারীদের দুর্ভোগ লাঘব হবে।