• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৬-৫-২০২৪, সময়ঃ সকাল ১০:২৯

দ্বিতীয় ম্যাচেও জিম্বাবুয়েকে হারালো টাইগাররা



ক্রীড়া ডেস্ক

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তাওহীদ হৃদয় এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ৯ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌছে যায় টাইগার বাহিনী।

শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১৩৮ রান করে জিম্বাবুয়ে। চট্টগ্রামে ব্যাটে নেমে ১৫ রানে ওপেনার তাদিওনাশেকে হারায় জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের আরেক ওপেনার জয়লর্ড গাম্বির উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

ইনিংসের দশম ওভারে বাংলাদেশকে জোড়া উইকেট এনে দিয়েছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। একপাশ আগলে খেলছিলেন অভিজ্ঞ ব্যাটার ক্রেইগ আরভিন। তবে তিনিও ধৈর্য্যহারা হয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন। শেখ মেহেদীর বলে রিভার্স সুইপ করে চার মেরেছিলেন তিনি প্রথম বলেই। পরের বলে আভার রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ডিপ এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ দেন লিটনকে। ফলে ১৬ বলে ১৩ রানে শেষ হয় জিম্বাবুয়ের এই ব্যাটারের ইনিংস।

এরপর উইকেটে আসেন অভিষিক্ত ব্যাটার জোনাথন ক্যাম্পবেল। শরিফুল ইসলামকে লেগ সাইড দিয়ে ছক্কা মেরে শুরু করেন। পরের ওভারে মেহেদীকে একটি চারও মারেন তিনি। শরিফুলের আরেক ওভারে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে শেষ হয় ক্যাম্পবেলের দর্শনীয় ইনিংস। ৩টি ছক্কা ও ৪টি চারে তার ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ৪৫ রানের মারকুটে ইনিংস।

ইনিংসের শেষ দিকে ঝড়ো ক্যামিও খেলেন ব্র্যায়ান বেনেট। তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ২৯ বলে ৪৪ রান করে। ৪ বলে ৫ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন আরেক ব্যাটার আইন্সলে এন্ডলভু। আর তাতেই লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।

জবাবে ব্যাটে নেমে ভালো শুরু করে বাংলাদেশ। দলীয় ৪১ রানের মাথায় প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। ১৯ বলে ১৮ রান করে আউট হন তানজীদ হাসান।

ক্রিজে আসেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। লিটন দাসের সঙ্গে জুটি বেধে দেখে শুনেই খেলছিলেন তিনি। কিন্তু বেশি সময় থিতু হতে পারেননি ক্রিজে। ১৫ বলে ১৬ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।

এরপর ক্রিজে এসে দলের হাল ধরেন তৌহিদ হৃদয়। শক্ত হাতে জিম্বাবুয়ের বোলারদের মোকাবেলা করতে থাকেন। সেই সঙ্গে বাড়াতে থাকেন রানের চাকা। এরমধ্যে জাকির হোসেন আউট হলে মাঠে নামেন সাইলেন্ট কিলার খ্যাত মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

বাকি কাজটুকু রিয়াদ এবং হৃদয় মিলেই শেষ করেন। হৃদয় ১৪৮ স্টাইক রেটে ২৫ বল খেলে ৩৭ রান করেন। রিয়াদ খেলেন ঝড়ো ইনিংস। ১৬ বলে ২৬ রান করে ছিলেন অপরাজিত।

এই দুজনের ব্যাটিংয়ের সুবাদে ৯ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় বাংলাদেশ।