- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ২১-৭-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৪:০৭
দুই মাসেও উদ্ধার হয়নি অপহরণের শিকার চেয়ারম্যান
নিজস্ব প্রতিবেদক ►
গাইবান্ধায় দুই মাসেও উদ্ধার হয়নি অপহরণের শিকার সোস্যাল এ্যাডভান্সমেন্ট কাউন্সিল কো অপারেটিড ক্রেডিস ইউনিয়ন লিঃ এর চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান। তিনি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার খামার ধুবনী গ্রামের আ: জলিল সরকারের পুত্র।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, দি কো অপারেটিড ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অফ বাংলাদেশ লিঃ (কালব) এর সহযোগী সংগঠন সোস্যাল এ্যাডভান্সমেন্ট কাউন্সিল কো অপারেটিড ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ এর চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান। গত ৬ এপ্রিল নলডাঙ্গা সাদুল্লাপুর চেয়ারম্যান ব্যবস্থাপনা কমিটির নিযুক্ত হয়ে সমিতির কার্যাদি পরিচালনা করছেন। সমিতির ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সোস্যাল এ্যাডভান্সমেন্ট কো অপারেটিড ক্রেডিট ইউনিয়ন কে দি কো অপারেটিড ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অফ বাংলাদেশ লিঃ (কালব) প্রা: ৩৫ লাখ টাকা ঋণ প্রদান করেন। তিন চার মাস পর আরও অর্থের প্রয়োজন হলে কালব-এর নিকট আবার ঋণ আবেদন করা হয়। কালব কর্তৃপক্ষ এক কোটি পঁচিশ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া প্রতিশ্রুতি দেয় । পরবর্তীতে পূর্বের ঋণের ৩৫ লাখ টাকা পরিশোধ করে নেয়।
তার পর থেকেই কালব কর্তৃপক্ষ তালবাহনা করে কালক্ষেপন শুরু করে। এদিকে অর্থের অভাবে সোস্যাল এ্যাডভান্সমেন্ট কাউন্সিল কো অপারেটিড ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ টির মাঠ পর্যায়ে ঋণ কার্যক্রম মুখ থুবরে পড়ে। দীর্ঘ ৯ মাস পর কালব কর্তৃপক্ষ ৬০ লাখ অনুমোদন দেয়। তার মধ্যে ৩০ লাখ টাকা প্রদান করলেও দি কো অপারেটিড ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অফ বাংলাদেশ লিঃ (কালব) এর ভাইস চেয়ারম্যান ফাহমিদা সীমা একযোগে ১৫ লাখ টাকা সোস্যাল এ্যাডভান্সমেন্ট কাউন্সিল কো অপারেটিড ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ হিসাব শিরোনামে চেকমূলে হাতিয়ে নেয়। এদিকে অবশিষ্ট ৩০ লাখ টাকার কোন খবর নেই।
সোস্যাল এ্যাডভান্সমেন্ট কাউন্সিল কো অপারেটিড ক্রেডিস ইউনিয়ন লিঃ এর অফিসের কর্মকর্তা, ম্যানেজার, মাঠ-কর্মীসহ সকলে চেয়ারম্যান আতিকুর রহমানকে দোষারোপ করতে থাকে। এদিকে ম্যানেজার, মাঠ-কর্মীরা মাঠ পর্যায়ে সদস্য নির্বাচন, ঋণ প্রদান, কিস্তি আদায় ও সঞ্চয় উত্তোলন করে অফিসে জমা প্রদান না করে তারা আতৎসাত করে। এসব কাজের প্রতিবাদ করায় তারা আতিকুর রহমানকে গুমসহ জীবন নাশের হুমকি দিতে থাকে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ রেকড, রেজিষ্টার ও ফাইল গায়ের করেন। আতিকুর রহমান ন্ত্রায়ুবিক অসুস্থ ও (প্রতিবন্ধী)।
চলতি বছরের ২৪ মে সকাল ১০টায় আতিকুর রহমান প্রতিদিনের ন্যায় অফিসে যাওয়ার পথে মজুমদার টু নলডাঙ্গা রাস্তার মাঝামাঝি সুন্দরগঞ্জ মজুমদার বাজার এলাকা থেকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আতিকুর রহমানকে সিএনজিতে জোড়পূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়।
বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি এবং আতিকুর রহমানের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে মামলা গ্রহণ করেনি। পরে আতিকুর রহমানের পিতা আ: জলিল সরকার বাদী হয়ে গত ৮ জুন মোঃ শাহাদৎ হোসেন কে প্রধান আসামী করে আরও ৫ জনকে আসামী করে আমলী আদালত, সুন্দরগঞ্জ থানা, গাইবান্ধায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্তের নির্দেশ দেন।
এ প্রসঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই-এর হুমায়ুন কবীরের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অপহৃতকে দ্রুত উদ্ধার করতে আমরা চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অপহৃত এবং আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।