- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ২১-১-২০২৩, সময়ঃ সন্ধ্যা ০৬:৩২
দুই দিনব্যাপী মোহনার উৎসবে ছিলো শোভাযাত্রা-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ভাওয়াইয়া উৎসব
মোদাচ্ছেরুজ্জামান মিলু ►
মোহনার ১৫০তম আসর মানে উৎসবের আনন্দে ভাসিয়ে যাওয়া। অহংকারের তিন দশক এবং গৌরবের ১৫০তম আসর শুরু হয়েছে আনন্দ মিছিল ও ব্যতিক্রম ধর্মী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পরেই জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। ঢোল-সানাই এর ব্যান্ড পার্টির সাথে সকল সাংস্কৃতিক কর্মীরা মাথায় মোহনার ক্যাপ লাগিয়ে রঙিন সাজে সজ্জিত হয়ে নেচে গেয়ে আনন্দ শোভা যাত্রার মাধ্যমে যেন শতভাগ আনন্দই নিয়ে নিলেন।
সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় প্রয়াত নাট্যজন জহুরুল ইসলাম স্বপন স্মরণে সম্মাননা প্রদান, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি ও সংগীতানুষ্ঠান।
শুরুতে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অমিতাভ দাশ হিমুনের উপস্থাপনায় আমাদেও মাঝে থেকে না ফেরার দেশে চলে যাওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে সকলে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ নিরবতা পালন করার পর শুরু হয় সম্মাননা প্রদান পর্ব। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. করিফুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কবি সরোজ দেব এবং সদও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ সারোয়ার কবীর। মোহনার পক্ষে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের দিয়ে সম্মাননা প্রাপ্তদের ফুলের তোরা ও ক্রেস্ট দেওয়া হয় এবং প্রত্যেককে মোহনার উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়। সম্মাননা পেয়েছেন সংগঠক হিসেবে শাহজাহান খান আবু, নাট্য ব্যক্তিত ¡হিসাবে রাগিব হাসান চৌধুরী এবং তবলা শিল্পী হিসেবে বিভূতি ভূষণ দাশ। দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় রবিউল ইসলাম স্বপন ও তমালিকার দলের কয়েকটি নৃত্য এবং স্থানীয় শিল্পীদেও সংগীত পরিবেশনা।
সংগীত পরিবেশন করেন শাহ মশিউর রহমান, খাজা সুজন, জাফরিন আলম, সিরাজুল ইসলাম সোনা, অসীম চৌধুরী, চুনি ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, খন্দকার শামীম আহমেদ, টিটু কর্মকার, জিয়াউর রহমান জিয়া, সোমা সেন, লায়লাতাজনুর সাউদী, জ্যোতির্ময়ী সরকার উর্মি এবং তাসনিয়া বিনতে ফেরদৌস।
পরের দিন শুক্রবার মোহনার আয়োজনে পৌর শহীদ মিনার চত্বওে ছিলো ভাওয়াইয়া উৎসব। এ উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেব বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক এবং সম্মানীয় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী প্রধান এম আব্দুস সালাম ও মুক্তিযুদ্ধেও গবেষক অধ্যাপক জহুরুল কাইয়ুম।
উপস্থাপক শিরিন আকতারের উপস্থাপনায় শুরু হয় ভাওয়াইয়া গানের আসর। গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের শিল্পীরা বেশ কয়েকটি ভাওয়াইয়া গান পরিবেশন করেন। গানের সাথে ঢোল ও বাঁশির সুওে শহীদ মিনার চত্বও ছিলো এক অন্য রকম মুখরিত সন্ধার রাত। ভাওয়াইয়া সংগীত পরিবেশন করেন গাইবান্ধার আফসার আলী এবং রুকসানা আক্তার রিতা এবং কুড়িগ্রামের পঞ্চানন রায়, নাজমুল হুদা ও সুরভী রায় শিল্পী। দুইদিন ব্যাপী যন্ত্র সংগীতে ছিলেন তবলায় মাহমুদ সাগর মহব্বত, কি-বোর্ডে এসএম স্বাধীন, প্যাডে মানিক বর্মন, গিটাওে তানভির মাহতাব, বাঁশিতে জীবন রায়, দোতরায় রফিকুল ইসলাম এবং ঢোলে কাজল চন্দ্র।