• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৮-৭-২০২৩, সময়ঃ সকাল ০৮:৪০

ঠিকাদারের গাফিলতির কারনে ড্রেন নির্মাণে ধীরগতি ভোগান্তিতে পৌরবাসি 



সুুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি ►

চলছে বর্ষা মৌসুম। সামন্য বৃষ্টি হলেই পৌর শহরে হাটু পানি। চরম ভোগান্তি শিকার পৌরবাসি। কারন একটাই ড্রেন আছে, ঢাকনা নাই এমনকি পানি নিস্কাশন হয় না। ঢাকার প্রভাবশালী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারনে ড্রেনেজ ব্যবস্থার এই অবস্থা।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌর শহর এলাকা এখানো ড্রেনের আওতায় আসে নাই। যার কারনে বৃষ্টি হলেই পৌরবাসিকে হাটু পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিশেষ করে স্কুল গামি কোমলমতি শিশুরা অতি কষ্ট করে জামা কাপড় ভিজে প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে হচ্ছে। 

জানা গেছে, ২০১৮ সালে  জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর পৌর শহরের কাঁঠালতলী মোড় হতে পশ্চিম বাইপাস মোড় এবং মীরগঞ্জ বাজার হতে কন্নি পাড়া পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু করে। ঢাকাস্থ খোকন ট্রেডিং এজেন্সসি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এই ড্রেন নির্মাণের কাজ করছে। ১ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ড্রেনটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

দায়সারা গোছের  ড্রেন নর্মাণ করলেও আজ পর্যন্ত ড্রেনের উপরে ঢাকানা দেয়নি এবং ওই ড্রেনে পানি নিস্কাশন বন্ধ রয়েছে। সে কারনে বৃষ্টি হলেই ওই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া কলেজ মোড় হতে হাবলুর মোড় এবং মীরগঞ্জ বাজার হতে বালা পাড়া পর্যন্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা অসম্পূর্ণ থাকায় পানি নিস্কাশন হচ্ছে না। তাই পৌরবাসিকে চরম ভোগান্তি পোয়াতে হচ্ছে। 

পশ্চিম বাইপাস মোড়ের ফরহাদ মিয়া জানান, বৃষ্টি হলেই এই এলাকায় হাটু পানি জমে যায়। ড্রেন দিয়ে পানি চলাচল করতে না পারায় তার বাড়ির ভিতর দিয়ে পানি গড়ে যাচ্ছে। স্কুল গামি ছেলে-মেয়ে এবং পথচারিগণকে হাটু পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। স্থানীয় কাউন্সিলর এবং মেয়র বিষয়টি জানার পর ও কোন ব্যবস্থা নেয়নি আজও। তিনি আরও বলেন ড্রেনের উপরে ঢাকনা না থাকায় ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পৌরবাসিকে।

মীরগঞ্জ বাজারের জুয়েল রানা জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিজের মনগড়ামত ড্রেন নির্মাণ করেছেন। দীর্ঘ ৫ বছরেও ড্রেনের ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়নি। বিশেষ করে ড্রেনের ঢাকনা না থাকায় পৌরবাসিকে ঝুকি নিয়ে পথ চলতে হচ্ছে। বর্ষালের জলাবদ্ধতা পৌরবাসিকে নাকাল করে তুলেছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি নিপুন সরকার জানান, বর্ষার কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। 

পৌর ইঞ্জিনিয়ার আবুল বাশার জানান, পৌর শহরের বেশিভাগ ড্রেন জাইকা এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর  নির্মাণ করে থাকেন। দীঘদিন থেকে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর পৌর শহরের দেড় কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ করে আসছেন। ড্রেন সম্পূণভাবে নির্মাণ না হওয়া ড্রেন পরিস্কার করা দূরহ ব্যাপার হয়ে পড়েছে। তারপরও জরুরী ভিত্তিত্বে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে। 

উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপসহকারি প্রকৌশলী খোকন রানা জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আগামি ২৮ দিনের মধ্যে ড্রেনের কাজ সম্পন্ন করার জন্য চুড়ান্ত তাগাদাপত্র দেয়া হয়েছে। এরপরও যদি কাজ না করে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ রেজা সরকার ডাবলু জানান, ড্রেনের কাজ অতিদ্রত সম্পন্ন করার জন্য বহুবার তাগাদা দেয়া হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাউকে তোয়াক্কা না করে নিজের মনগড়া মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছে। সে কারনে পৌরবাসিকে ভোগান্তি পোয়াতে হচ্ছে। এক মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন না করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।