- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ২-২-২০২৩, সময়ঃ সকাল ০৮:৪৭
জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস আজ
মাধুকর ডেস্ক ►
জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস আজ (বৃহস্পতিবার)। প্রতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপ এ দিবসটি পালন করে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘নিরাপদ খাদ্য, সমৃদ্ধ জাতি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার চাবিকাঠি’।
২০১৮ সালে দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হয় নিরাপদ খাদ্য দিবস। ওই বছর সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে সচেতন করে তোলার অংশ হিসেবে ২ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালনের মূল ল্য হচ্ছে মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্য সুরার জন্য নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা। এছাড়া বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপ (বিএফএসএ) সর্বসাধারণকে জানানো এবং নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, সরবরাহ, বিপণন ও বিক্রয় সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বিষয়ে সর্বস্তরে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করাই এ দিবসের প্রধান ল্য।
দিবসটি উপলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এদিকে দিবসটি উপলে আজ বেলা ১১টায় বিআইআইএসএস অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন এনডিসি। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার। সভাপতিত্ব করবেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপরে চেয়ারম্যান আব্দুল কাইউম সরকার।
- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ২-২-২০২৫, সময়ঃ সকাল ১০:৩৮
জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস আজ
মাধুকর ডেস্ক►
‘খাদ্য হোক নিরাপদ, সুস্থ থাকুক জনগণ’ প্রতিপাদ্যে আজ (রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে পালিত হচ্ছে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস। প্রতিবছরের ২ ফেব্রুয়ারি দিবসটি উপলক্ষে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ দেশব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হয় নিরাপদ খাদ্য দিবস। ওই বছর সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে সচেতন করে তোলার অংশ হিসেবে ২ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা। এছাড়াও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) সর্বসাধারণকে জানানো এবং নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, সরবরাহ, বিপণন ও বিক্রয় সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বিষয়ে সর্বস্তরে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করাই এ দিবসের প্রধান লক্ষ্য।
পুষ্টিবিদরা মনে করেন ট্রান্স ফ্যাটি এসিড (টিএফএ) বা ট্রান্সফ্যাট একটি বিষাক্ত খাদ্য উপাদান যা হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপসহ নানাবিধ অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ট্রান্সফ্যাট মুক্ত খাবার নিশ্চিত করতে সবধরনের ফ্যাট, তেল এবং খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চ সীমা মোট ফ্যাটের ২ শতাংশ নির্ধারণ করে প্রবিধানমালা প্রকাশ করেছে। প্রবিধানমালাটি দ্রুত ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে ট্রান্সফ্যাটঘটিত হৃদরোগ ঝুঁকি কমিয়ে আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী ভোজ্যতেল ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ ব্যতীত বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ। কিন্তু ড্রামের অধিকাংশ খোলা ভোজ্যতেলে ভিটামিন ‘এ’ নেই বা পরিমিত মাত্রায় থাকে না। প্লাস্টিকের ড্রাম বারবার ব্যবহারের ফলে ভোজ্যতেল বিষাক্ত হতে পারে। তাছাড়া ড্রামের খোলা ভোজ্যতেলে ভেজাল মেশানোর সুযোগ থাকে। ফলে ভোজ্যতেলে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ আইন, ২০১৩ বাস্তবায়নে ড্রামের খোলা ভোজ্যতেল বাজারজাতকরণ একটি বড় বাধা হিসেবে কাজ করছে।
প্রজ্ঞা জানিয়েছে, জাতীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট জরিপ ২০১১-১২ অনুযায়ী, দেশে ৬-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে ২০.৫% এবং ১৫-৪৯ বছর বয়সী নারীদের (গর্ভবতী এবং দুগ্ধদানকারী ব্যতীত) মধ্যে ৫.৪% ভিটামিন ‘এ’ ঘাটতিতে ভুগছে।
আইসিডিডিআর,বি’র এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাজারে মোট ভোজ্যতেলের ৬৫ শতাংশ ড্রামে বাজারজাত করা হয়, যার মধ্যে ৫৯ শতাংশই ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ নয় এবং ৩৪ শতাংশে সঠিকমাত্রায় ভিটামিন ‘এ’ নেই। মাত্র ৭ শতাংশ ড্রামের খোলা তেলে আইনে নির্ধারিত ন্যূনতম মাত্রায় ভিটামিন ‘এ’ পাওয়া গেছে। এসব ড্রামে কোনও প্রকার লেবেল এবং উৎস শনাক্তকরণ তথ্য যুক্ত না করায় তেল সরবরাহের উৎস চিহ্নিত করা যায় না। ফলে কেউ অপরাধ করলে তদের চিহ্নিত করা যায় না।
জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২৫ উপলক্ষে এক প্রতিক্রিয়ায় গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা’র (প্রগতির জন্য জ্ঞান) নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, “ভোজ্যতেল খাদ্যপণ্য বিধায় এটি নিরাপদভাবে ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর দায়িত্ব সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবার। ড্রামে খোলা ভোজ্যতেল বাজারজাতকরণ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং এর ক্ষতি সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে।”