• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১২-৪-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৩:২২

জনবল সংকটে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত সাধারণ মানুষ



সাঘাটা(গাইবান্ধা) প্রতিনিধি ►

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসকসহ জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসা সেবার চরম ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নিত করা হলেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল সংকটের কারণে কাক্সিক্ষত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকার জনসাধারণ।

জানা যায়, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে মানুষের জন্য সরকারী চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসাস্থল সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন ছাড়াও প্রতিবেশী ফুলছড়ি উপজেলার চরাঞ্চলের ১টি ইউনিয়নসহ ৫ লাক্ষাধিক মানুষ এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবার প্রতি নির্ভরশীল।  

একারণে প্রতিদিন বিভিন্ন গ্রাম থেকে ৩ শ থেকে ৪ শ রোগী চিকিৎসা নিতে আসে এস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠির চিকিৎসা সেবার ভরসা এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে চিকিৎসা সেবা বাড়ানোর লক্ষে বিগত ২০১১ সালে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করে প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়া হয় । কিন্তু প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ জনবল এখনও নিয়োগ দেয়া হয়নি । ফলে শুরু থেকেই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সৃষ্ট ৪২টি পদের বিপরীতে  ১৯ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ১৫৮ জন জনবল থাকার কথ থাকলেও ৫২টি পদে এখনও জনবল শূন্য রয়েছে।  বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ১৯ জনের স্থলে কর্মরত আছেন মাত্র ১১ জন, শূন্য রয়েছে ৮ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ।

এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পদে থেকে তিন জন চিকিৎসকের একজন গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে,একজন ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপর একজন সহকারী ইউনানী ও আয়ুবেদীক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মীরপুর ঢাকায় সংযুক্তিতে রয়েছেন। চিকিৎসক ও জনবল সংকটের কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে রোগীরা কাঙ্খিত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না। ফলে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। 

ঝাড়াবর্ষা গ্রামের ফুলবানু বেগম,যোগিপাড়া গ্রামের মোর্শেদা ও রশিদা বেগম জানান, এই হাসপাতালে এসে লাভ নেই সঠিক চিকিৎসা পাওয়া যায়না । সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পারকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আরিফুজ্জামান বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সহ জন সংকটের কারণে সবধরণের রোগীর চিকিৎসা এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেয়া সম্ভব হয়না সে ক্ষেত্রে রোগীকে রেফর করতে হয় শহরের কোনো হাসপাতালে। যেমন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং দক্ষলোক না থাকায় সিজারিয়ান ডেলিভারী চালু হচ্ছে না।  

এক্সে-রে মেশিন ও  ল্যাব যন্ত্রপাতি আছে,কিন্তু টেকনিশিয়ান না থাকায় রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে অনেক রোগীকেই এখান থেকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে অথবা বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করতে হয়।

জনবসংকটের বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন বলেন, উপনির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ার পর যখন জেনেছেন, সাঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যার হলেও জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসা সেবার ব্যাহত হচ্ছে। জনবল সংকট নিরসনে সাঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নিয়োগের জন্য জোর চেষ্টা করা চলছে বলে তিনি জানান।