• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১২-৪-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৩:১৫

চিলমারীতে গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন 



এস এম রাফি, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) ►

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে গত কয়েকদিন ধরে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছে এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া ও দিনমজুর মানুষজন।

বুধবার বেলা ১২ টায়  জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা  গতকাল মঙ্গলবার   তাপমাত্রা থেকে কিছু টা বৃদ্ধি পেয়েছে। 

মঙ্গলবার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা মৃদু তাপপ্রবাহের কাছাকাছি বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিস। এর আগে সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিল মৃদু তাপপ্রবাহ। 

এদিকে এই রোদের মধ্যে ঘাম ঝড়ানো তাপমাত্রায় দিনমজুর, রিকশাচালক, অটোরিকশা চালক, ঘোড়ার গাড়ি চালক ও ভ্যান চালকরা পড়েছেন বিপাকে।  

এই রোদ ও গরমে জীবন জীবিকা নির্বাহের তাগিদে মাঠে কাজ করছেন তারা। অনেকে রোজা রেখেই করছেন কষ্টের কাজ। এদিকে রোদ ও তীব্র গরমে খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না মানুষজন। অনেকে রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা ও গামছা ব্যবহার করছেন। 

থানাহাট ইউনিয়নের থানা পাড়া এলাকার মজিবর নামের একজন ভ্যান চালক বলেন, কয়েকদিন থেকে এতো পরিমাণে রোদ ও গরম পড়ছে আমাদের অবস্থা খুব খারাপ। ঠিকমতো গাড়ি চালাতে পারছি না। গাড়ি চালানোর সময় মনে হয় জীবন বেইর হয়ে যায়।মনে হয় গরমের কারণে ভাড়া কম, তাতে আবার রমজান মাস। 

চিলমারী ইউনিয়নের শাখাহাতি এলাকার  ফারুক আহমেদ বলেন, রোদে অবস্থা খারাপ। আমাদের চরে তো গাছপালা নেই, এই জন্য আরও বেশি গরম। এই রোদে বাড়ি থেকে বের হলেই বিপদ। কোথাও যে ঠান্ডায় গিয়ে দাঁড়াব তারও জায়গা নাই। বালু মাটিতে হাঁটাও যায় না, বালু যে এতো গরম হয়। যাই হোক অনেক কষ্ট করে জোড়্গাছ হাটে এলাম। বাজার করেই চলে যাব, আর দেরি করব না।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সবুর হোসেন বলেন, এই মুহূর্তে বৃষ্টিপাতের কোনো পূর্বাভাস নেই।  

চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প. প. কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম জানান, চিলমারীতে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে গেলেও এখনও হাসপাতালে রোগীর চাপ স্বাভাবিক রয়েছে। এই গরমে শিশুদের বাবা-মাকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করছি। বিশেষ করে তারা যেন বাইরের কোনো খাবার বাচ্চাদের না খাওয়ান। গরমে বাচ্চাদের গা ঘেমে গেলে মুছিয়ে দিতে হবে। খাবার সব সময় ঢেকে রাখতে হবে। যদি কখনও কোনো সমস্যা হয় যেমন সর্দি ও কাশি হয় তাহলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসবে।