• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৯-৭-২০২৩, সময়ঃ সকাল ১০:০৮

চিরিরবন্দরে আদিবাসী ফিলিমন কু-লেস হত্যা মামলায় জড়িত আসামী গ্রেপ্তার ও হত্যাকান্ডে রহস্য উন্মোচন



দিনাজপুর প্রতিনিধি ►
 
দিনাজপুর  চিরিরবন্দরের  পুনট্টি পাঠানডাঙ্গা গ্রামের  আদিবাসী ফিলিমন সরেন (৬০)  কু-লেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । 

আজ শনিবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে গ্রেফতারকৃত আসামী দ্বয় ১৬৪ ধারায় দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এর সম্মুখে  স্বীকারোক্তি মুলক জবাববন্দী প্রদান করেছে ।
 
গ্রেফতারকৃতরা হল  রবিন হেমরম (৪০) সে দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার পুনট্টি ঝারুয়াপাড়ার ঢেনা হেমরম এর ছেলে । অপর জন হল রয়েল হেমরম (১৬) দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার পুনট্টি ঝারুয়াপাড়ার রবিন হেমরম এর ছেলে । ঘাতকেরা হল বাবা ছেলে । 

আটক আসামীর দেওয়া তথ্য মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত লোহার রড , ভিকটিমের মোবাইল ফোন,  ভিকটিমকে হত্যার সময় ব্যবহৃত রক্তমাখা বালিশ ও দুইটি শাট,  ভিকটিমের বসত বাড়ীর ও কর্মস্থলের চাবিসহ মোট ১৭টি চাবি,  ভিকটিমের মরদেহ গোপন করার কাজে ব্যবহৃত একটি প্লাষ্টিকের বস্তা, রশি এবং একটি বাঁশ,  ভিকটিমের রক্তাক্ত মাথা বাধার জন্য একটি পলিথিন ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। আসামি রবিন নিহতের ভাস্তি জামাই । 

চাচা শ্বশুরের জমি বন্ধকীর নগদ ১ ল ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য  আপন পুত্র ও অন্যান্য সহযোগীদের  নিয়ে এই হত্যাকান্ড সংগঠিত করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে । কিন্তু দুঃখের বিষয় হত্যার পরে সেই একল বিশ হাজার টাকা বাড়ীর কোথায় লুকিয়ে রেখেছিল তারা আর খুঁজে পায়নি ঘাতকেরা । 

চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রশিদ বলেন, আদিবাসী  ফিলিমন সরেন (৬০) এর লাশ উদ্ধারের সময় রবিন হেমরম নিজেই  সনাক্তকারী হিসাবে স্বাক্ষী হিসাবে পুলিশের সামনে আসে । হত্যার বিভিন্ন মুটিব পর্যালোচনা করার পর পুলিশ নিশ্চিত হয় যে রবিন হেমরম এই হত্যার প্রধান আসামী । হত্যার সকল তথ্য উপাত্ত মিলে যাওয়ার পর রবিন হেমরমকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরই স্বীকার করার পর তার সহযোগী তার ছেলে রয়েল হেমরমকেও গ্রেফতার করে । 

উল্লেখ শুক্রবার ( ৭ জুলাই )  দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে পুন্ট্রি ইউনিয়নের একটি বাঁশ ঝাড় থেকে ফিলিমন বর্মন (৫৬) নামে একজন আদিবাসী নৈশ্য প্রহরীর অর্ধ গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে  পুলিশ। নিহত নৈশ্য প্রহরী ফিলিমন বর্মন  গমিরা হাট এলাকার বাসিন্দা ও ওই এলাকার তফসিলি উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর একজন কর্মচারী হিসাবে কর্মরত ছিল।