• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২৭-২-২০২৪, সময়ঃ সন্ধ্যা ০৬:০১

গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল হত্যার বিচারসহ সাতদফা বাস্তবায়নের দাবি



নিজস্ব প্রতিবেদক►

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আলোচিত তিন সাঁওতাল হত্যার বিচারসহ সাতদফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে সাঁওতালরা। আজ মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টা থেকে ঘন্টাব্যাপি গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়কের কাটামোড় এলাকায় এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি পুনরুদ্ধার সংগ্রাম কমিটির আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি পুনরুদ্ধার সংগ্রাম কমিটি সভাপতি মিঃ বার্নাবাস টুডুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি পুনরুদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাফরুল ইসলাম প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক রাফায়েল হাসদা, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিনহাজ শেখ, অর্থ সম্পাদক গণেশ মুরমু, প্রচার সম্পাদক আতাউর রহমান সাবু, আদিবাসী নেত্রী মায়রা হেমব্রম, জামিন হেমব্রম, আনছেল হেমব্রম, টাটু হেমব্রম ও রুমিলা কিসকু প্রমুখ।   

এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশে অংশ নেয়।

বক্তারা বলেন, সাঁওতাল হত্যার বিচার, সাঁওতাল হত্যা মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছেনা। বিভিন্ন সময়ে তারা সাঁওতালদের ভয়ভীতি ও হুমকী-ধমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে অথচ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন তাদের খুজে পায়না। আসামীরা এভাবে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোয় ভুক্তভোগিদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

অনতিবিলম্বে বসতবাড়ীতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ভাংচুর ও জমি ফেরতসহ ৭দফা দাবী দ্রুত বাস্তবায়নের দাবী জানান বক্তারা। 

বক্তারা আরও বলেন, একটি কুচক্রি মহল সাঁওতাল হত্যার বিচার ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ইপিজেড করা নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এখানে সাঁওতালদের থেকে অধিকার বঞ্চিত করার চেষ্টা করা হলে তা প্রতিহত করা হবে। এই জমি উদ্ধার করতে গিয়ে তিনজনকে প্রাণ দিতে হয়েছে প্রয়োজনে আমরাও প্রাণ দিবো তবু জমি ছেড়ে দিবোনা।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর বিরোধপূর্ণ রংপুর চিনিকলের আওতাধীন সাহেবগঞ্জ ইক্ষুখামারের জমিতে পুলিশ সঙ্গে নিয়ে আখ কাটতে যান চিনিকল কর্তৃপক্ষ। এসময় সাঁওতালরা আখ কাটতে বাধা দেন। এতে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে শ্যামল, মঙ্গল ও রমেশ নামে তিন সাঁওতাল মারা যান।