- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ৩-৪-২০২৩, সময়ঃ দুপুর ০২:৩৬
গোবিন্দগঞ্জে শাক সবজি বিক্রি করে বাড়তি টাকা আয়
গোপাল মোহন্ত, গোবিন্দগঞ্জ ►
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের পুষ্টি বাগান এখন শুধু সংসারে পুষ্টি চাহিদা নয় মিটাচ্ছে ছেলে মেয়েদের পড়া লেখার খরচ। আবার অনেকেই নিজের পুষ্টি চাহিদা পূরণের পর বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সুত্রে জানা গেছে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণের জন্য ২.২১ হেক্টর জমিতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় পুষ্টি বাগান স্থাপন করা হয়। এ জন্য ৩শ’ ৬৫জন বাগান মালিককে দেয়া হয় সবজি বীজ ও ফলের চারাসহ অন্যান্য সুবিধাদি। পুষ্টি বাগানের মুল উদ্যেশ্য হলো সুবিধাভোগীরা যেন নিজের পরিবারের সদস্যদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারে।
বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন স্থানের এই পুষ্টি বাগানের মালিকরা তাদের চাহিদা পূরণ করে বাগনে উৎপাদিত শাক-সবজি, ফলমূল বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয়ের পাশাপাশি ছেলে-মেয়েদের স্কুল কলেজের লেখা-পড়ার খরচ সংস্থান করছেন।
উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ভিটা সাকোইল গ্রামের মিনি বেগম তার বসতবাড়ীর আঙ্গিনায় গড়ে তুলেছেন পুষ্টি বাগান। সেখানে রয়েছে করলা, বেগুন, লাউ, শসা সহ বিভিন্ন শাক-শবজি। মিনি বেগম বলেন উপজেলা কৃষি অফিস থেকে একটি পুষ্টি বাগান প্রকল্পের বাগান পেয়ে ছিলাম। সুষ্ঠু পরিচর্চা ও কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে খুব তারাতারি বাগানের শাক-শবজি পেতে শুরু করি। নিজের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবেশীকে দেই আবার বাজারেও বিক্রি করে দায়দেনা থেকে সংসারকে সহায়তা করি।
একই ইউনিয়নের বারটিকরী গ্রামের ইন্দুবালা, নারায়ন চন্দ্র, নিরঞ্জন চন্দ্র ও সুমলের সাথে কথা হয়। তারা জানান কৃষি অফিসের সহায়তায় বাড়ীর আঙ্গিনায় ও বাড়ী পাশে গড়ে তুলেছেন পুষ্টি বাগান। সেখান থেকে উৎপাদিত শাক-সবজি পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে অর্থনৈতিক সমস্যায় অতিরিক্ত শাক-সবজি বাজারে বিক্রি করে আয় করছেন। অনেক সময় এসব আয় থেকেই ছেলে-মেয়ের পড়াশুনায় খরচের যোগান দিতে পারছেন।
উপজেলা বৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ-রেজা-ই-মাহমুদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে কোথাও এক খন্ড জমিও যেন পরিত্যাক্ত না থাকে। বলা যায় এই পুষ্টি বাগান গুলো সেই নির্দেশণার একটি অংশ। নির্দেশনা বাস্তবায়নে এবং কৃষকের কল্যানে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস কাজ করছে। বর্তমানে পুষ্টি বাগান গুলি এখন নিজেদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ সহ বাড়তি আয়ের একটি মাধ্যম। আবার পতিত জমির সর্বত্তোম ব্যবহার হচ্ছে।