• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৮-৮-২০২৩, সময়ঃ সকাল ১১:২৭

গোবিন্দগঞ্জে চার মাসে ১৯ জনের আত্মহত্যা



গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি ►

গোবিন্দগঞ্জে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। হতাশা. অভিমান ও পারিবারিক কারণে বৃদ্ধ থেকে শুরু করে যুবক কিশোর এমনকি স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা আত্নহত্যা করছেন। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে গত ৪ মাসে এই উপজেলায় আত্নহত্যাকারীর সংখ্যা ১৯ জন। এরমধ্যে বেশীভাগ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী। তবে থানার তথ্যমতে আত্নহত্যাকারীর সংখ্যা ১১জন।

স্থানীয়দের মধ্যমে এবং বিভিন পত্র পত্রিকায় ও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা গেছে উপজেলার ১৭ ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভায় গত ৪ মাসে ১৯  জন আত্মহত্যা করে।  কেউ গ্যাস টেবলেট, কেউ বা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে। তবে বেশী ভাগ আত্নহণনকারীদের বয়স ২৩ বছরের নীচে।

পরিচয় গোপন রাখার স্বার্থে একটি ভুক্তভোগীর পরিবার জানান, তার ছেলে দশম শ্রেণিতে পড়ত। মোবাইল কিনে না দেওয়ায় সে জমিতে দেয়ার জন্য ঘরে থাকা কীটনাশক পান করে আত্নহত্যা করেছে। তবে অন্যরকম ঘটনা ঘটেছে উপজেলা সাপামারা ইউনিয়নের চকরহিমাপুর গ্রামে। এই গ্রামে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া  ছাত্র মোবাইলে জুয়া খেলায় অর্থ হেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে।

অন্যদিকে এসএসসি পরীক্ষায় কাংখিত ফলাফল নাও হতে পারে এই আশংকায় পৌর সভার পুরাতন বন্দর এলাকার একজন মেধাবী এসএসসি পরীক্ষার্থী আত্নহত্যা করে। এদিকে গত রবিবার পাওনাদারের চাপে রাখাল বুরুজ ইউনিয়নের কাজী পাড়া গ্রামের কাজী রাশেদুুর রহমান লিফুু গ্যাস টেবলেট খেয়ে আত্নহত্যা করেছে। সে কাজীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং কাজী পাড়া গ্রামের মৃত কাজী মোয়াজ্জেম হোসেনের পুুত্র। এই মৃত্যুর তালিকায় পৌর এলাকার একজন অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন।

গোবিন্দগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক দিপক কুমার কর বলেন, সামাজিক অবক্ষয় থেকে মূলত এ ধরণের প্রবণতা বদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য কলেজ  ও বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠদানের পাশাপাশি নৈতিকতা বিষয়ক জ্ঞান দানের মাধ্যমে সচেতন করা আবশ্যক। অন্যদিকে বাড়ীতেও ছেলে-মেয়ের সাথে পিতা-মাতার দুরত্ব কমানো দরকার। যাতে ছেলে মেয়েরা তাদের কাছে নির্ভয়ে তাদের মনের ভাব এবং সমস্যার কথা বলতে পারে। আর বয়োবৃৃদ্ধদের শ্রদ্ধা ও সন্মনের সাথে মুল্যায়ন করতে হবে।

গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুুল আলম শাহ বলেন,গত ৪ মাসে উপজেলায় বিভিন্ন বয়সের ১১ জন

গোবিন্দগঞ্জে চার মাসে ১৯ জনের আত্মহত্যা

গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি ►

গোবিন্দগঞ্জে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। হতাশা. অভিমান ও পারিবারিক কারণে বৃদ্ধ থেকে শুরু করে যুবক কিশোর এমনকি স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা আত্নহত্যা করছেন। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে গত ৪ মাসে এই উপজেলায় আত্নহত্যাকারীর সংখ্যা ১৯ জন। এরমধ্যে বেশীভাগ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী। তবে থানার তথ্যমতে আত্নহত্যাকারীর সংখ্যা ১১জন।

স্থানীয়দের মধ্যমে এবং বিভিন পত্র পত্রিকায় ও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা গেছে উপজেলার ১৭ ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভায় গত ৪ মাসে ১৯  জন আত্মহত্যা করে।  কেউ গ্যাস টেবলেট, কেউ বা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে। তবে বেশী ভাগ আত্নহণনকারীদের বয়স ২৩ বছরের নীচে।

পরিচয় গোপন রাখার স্বার্থে একটি ভুক্তভোগীর পরিবার জানান, তার ছেলে দশম শ্রেণিতে পড়ত। মোবাইল কিনে না দেওয়ায় সে জমিতে দেয়ার জন্য ঘরে থাকা কীটনাশক পান করে আত্নহত্যা করেছে। তবে অন্যরকম ঘটনা ঘটেছে উপজেলা সাপামারা ইউনিয়নের চকরহিমাপুর গ্রামে। এই গ্রামে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া  ছাত্র মোবাইলে জুয়া খেলায় অর্থ হেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে।

অন্যদিকে এসএসসি পরীক্ষায় কাংখিত ফলাফল নাও হতে পারে এই আশংকায় পৌর সভার পুরাতন বন্দর এলাকার একজন মেধাবী এসএসসি পরীক্ষার্থী আত্নহত্যা করে। এদিকে গত রবিবার পাওনাদারের চাপে রাখাল বুরুজ ইউনিয়নের কাজী পাড়া গ্রামের কাজী রাশেদুুর রহমান লিফুু গ্যাস টেবলেট খেয়ে আত্নহত্যা করেছে। সে কাজীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং কাজী পাড়া গ্রামের মৃত কাজী মোয়াজ্জেম হোসেনের পুুত্র। এই মৃত্যুর তালিকায় পৌর এলাকার একজন অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন।

গোবিন্দগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক দিপক কুমার কর বলেন, সামাজিক অবক্ষয় থেকে মূলত এ ধরণের প্রবণতা বদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য কলেজ  ও বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠদানের পাশাপাশি নৈতিকতা বিষয়ক জ্ঞান দানের মাধ্যমে সচেতন করা আবশ্যক। অন্যদিকে বাড়ীতেও ছেলে-মেয়ের সাথে পিতা-মাতার দুরত্ব কমানো দরকার। যাতে ছেলে মেয়েরা তাদের কাছে নির্ভয়ে তাদের মনের ভাব এবং সমস্যার কথা বলতে পারে। আর বয়োবৃৃদ্ধদের শ্রদ্ধা ও সন্মনের সাথে মুল্যায়ন করতে হবে।

গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুুল আলম শাহ বলেন,গত ৪ মাসে উপজেলায় বিভিন্ন বয়সের ১১ জন আত্নহত্যা করেছে। মাদক বিরোধী ও আত্নহত্যা রোধে সচেতনা সৃৃষ্টি করতে কাজ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভা সমাবেশ করা হয়েছে। এই উদ্যোগ চলমান থাকবে।

করেছে। মাদক বিরোধী ও আত্নহত্যা রোধে সচেতনা সৃৃষ্টি করতে কাজ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভা সমাবেশ করা হয়েছে। এই উদ্যোগ চলমান থাকবে।