- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ২৮-৬-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৫:৫৬
গোবিন্দগঞ্জে চামড়ার ক্ষতিরোধে ও গুণগত মান রক্ষর্থে কোরবানি বাজারের হাসিল ঘরে চলছে লবণ বিক্রি
গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি ►
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে চামড়ার ক্ষতিরোধে ও গুণগত মান রক্ষর্থে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হাসিল ঘরে লবণ বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ধরণের ব্যতিক্রমী উদ্যোগেকে সাধুবাদ জানিয়েছে কোরবানি কিনতে আসা ক্রেতা সাধারণ।
উপজেলার গোলাপবাগ, মহিমাগঞ্জ, কোমরপুর, ফাঁসিতলা, কামদিয়া, নাকাইহাট, বালুয়া সহ সকল হাটের হাসিল ঘরে লবণ বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে।এসব হাটে কোরবানির জন্য গরু-ছাগল কেনার পর তাদের হতে তুলে দেয়া হচ্ছে পাইকারী মুল্যে লবণের প্যাকেট। সাথে দেয়া হচ্ছে কোরবানির পর পশুর চামড়া কিভাবে সংরক্ষণ করা হবে তার সংক্ষিপ্ত পরামর্শ। সেই সাথে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন মাইকে প্রচার করছেন যারা কোরবানি কিনছেন তারা হাসিল ঘর থেকে লবণ ক্রয় করেন। প্রচার করা হচ্ছে সংক্ষণের নির্দেশনা।
জেলার বৃহত্তম গরুর হাট হিসেবে পরিচিত গোলাপবাগ হাটে কোরবানি হিসেবে গরু কিনেছেন দরবস্ত ইউনিয়নের গোশাইপুর গ্রামের এনামুল হক। তিনি বলেন দেড় লক্ষ টাকায় কোরবানির জন্য গরু কিনেছি। এরপর সাথে হাসিল ঘর থেকে লবণ কিনলাম। গরুর ক্রয়ের পাশাপাশি একই স্থান থেকে লবণ পাওয়ায় বেশ খুশী। তিনি বলেন উদ্যোগটি খুব ভাল। গত বছর চামড়ার সংরক্ষণ করতে না পাড়ায় অত্যন্ত ফেলনা দামে তা বিক্রি করেছিলাম। এবার পূর্ব থেকেই চামড়া অপচয় ক্ষতি রোধে প্রস্ততি নিতে পারব।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আরিফ হোসেন বলেন, এই এলাকায় কোরবানির পর পশুর চামড়া ঢাকার ট্যানারী কারখানায় পাঠাতে বেশ সময় অতিবাহীত হয়। এতে চামড়ার গুণগত মান রক্ষা করা বেশ কঠিন হয়। অনেক ক্ষেত্রে চামড়া অপচয় হওয়ার আশংকা দেখা দেয়। যেহেতু চামড়া দেশের একটি গুরুতপূর্ণ সম্পদ সেহেতু এর অপচয় ও গুণগতমান অক্ষুন্ন রাখা আমাদের দায়িত্ব। এই দায়িত্ববোধ থেকেই কোরবানির পশুর হাট শুরু হওয়ার পর থেকেই হাসিল ঘরে লবণ বিক্রি করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের নির্দেশণা রয়েছে।