• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১২-৪-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৩:১৯

গোবিন্দগঞ্জে ক্রেতাদের নজর তৈরি কাপড়ের দোকানে, ঈদে কাজের চাপ নেই দর্জি দোকান ও টেইলার্সে



গোপাল মোহন্ত, গোবিন্দগঞ্জ ►

গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জে জমে উঠতে শুরু করেছে ঈদ মার্কেট। ঈদে পছন্দের নতুন পোষাক কিনতে ক্রেতাদের পদচারণায় সরগরম মার্কেট ও বিপনী বিতান গুলো ॥ তবে রেডিমেড পোষাকের দোকানে ভীর থাকলেও ভিন্ন চিত্র টেইলার্স গুলোতে। সেখানে কাঙ্খিত অর্ডার না পাওয়ায় আনেকেই অলস সময় পার করছেন। 

১৫ রমজান পার হওয়ার পর থেকে জমে উঠতে শুরু করেছে গোবিন্দগঞ্জের ঈদ বাজার। তাই দিন যতই ঘনিয়ে আসছে শহরের মার্কেট ও বিপনী বিতান গুলোতে ক্রেতা সমগম বাড়ছে। ঈদে পছন্দের পোষাক কিনতে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ছোটাছুটি করছেন ক্রেতারা। তবে ভিন্ন চিত্র টেইলার্স গুলোতে। রেডিমেড পোষাকের দোকানে যখন ভীরে ঠাসা তখন কাঙ্খিত অর্ডার না পাওয়ায় আনেকটা আলস সময় পার করছেন টেইলার্স ব্যবসায়ীরা। অথচ দর্জি দোকান ও টেইলার্স মালিকরা সারা বছর তাকিয়ে থাকে ঈদ পূজা ও পহেলা বৈশাখের দিকে। ঈদ-পূজা ও পহেলা বৈশাখের আয়ে চলে সারা বছর।

 টেইলার্স মালিক রঞ্জন কুমার বলেন, এ সময় কাজের চাপে দিনরাত সমানে তার দর্জিরা কাজ করছে। কিন্তু, এবার চিত্র পাল্টে গেছে।  একই ধরণের কথা বলেন কার্টার মাষ্টার বিদ্যুৎ চন্দ্র। তিনি বলেন গার্মেন্টের তৈরী শার্টপ্যান্ট সহ অন্যান্য রেডিমেড কাপড়ের ওপর চাহিদা থাকায়  শহরের টেইলার্স গুলিতে কোন ভির নেই। এ অবস্থা চলতে থাকলে এক সময়ের দর্জি শিল্প বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

বেশীর ভাগ টেইলার্স মালিক বলেন সারা বছর তেমন কোন কাজ না থাকায় নানামুখি সঙ্কটে রয়েছেন। আশা ছিল আসন্ন ঈদে কাঙ্খিত অর্ডার পাবেন।  কিন্ত তা না হওয়ায় হতাশার সুর তাদের কন্ঠে। 

দর্জি শ্রমিক মোশারফ হোসেন বলেন সারা বছর কাজ না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে নানা দুরাবস্থায় থাকতে হয়।সকল দর্জি শ্রমিকরাই আশা করেন ঈদ-পূজা সহ অন্যান্য উৎসবের দিকে। কিন্ত, ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকী তারপরেও অন্যান্য বছরের মত কাজ নেই। যে কারণে টেইলাস থেকে বাদ পরায়  অনেকেই পেশা বদলাতে বাধ্য হচ্ছেন। 

ঈদ যতই ঘনিয়ে আসবে  মার্কেট ও বিপনী বিতান গুলো ততই ক্রেতা মুখর হয়ে উঠবে, সেই সাথে টেইলার্স গুলোতেই কাঙ্খিত অর্ডার আসবে এমনটি প্রত্যাশা সকলের।