- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ২-৫-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৫:৩৮
গোবিন্দগঞ্জে অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ করায় বিপাকে পরেছে স্থানীয়রা
গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি ►
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ করা বিপাকে পরেছে স্থানীয়রা। এখন অপরাধকারী ও অপরাধের পৃষ্ঠপোষকতাকারীদের হুমকী ধামকী এবং মামলায় ফাঁসানো অপচেষ্ঠায় আতংকিত হয়ে পরেছেন এলাবাসী ডাঃ সাখাওয়াত হোসেন হারেজ।
উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের বালুয়াপাড়া সংলগ্ন তাজপুরের গ্রামের ডাঃ সাখাওয়াত হোসেন হারেজের এঘটনায় থানায় দাখিল করা এজাহারে জানা গেছে, রহলা গ্রামের আজিজার রহমান মুন্সীর কন্যা রাশেদা বেগম (৪৬) জায়েদ আলীর ইট ভাটা সংলগ্ন চন্ডিপুর গ্রামে কিছুদিন আগে বাড়ী করে সেখানে বসবাসের সুযোগে গ্রামের গুন্ডপান্ডা এবং খরাপ প্রকৃতির লোকজনের সাথে সংখ্যতা গড়ে তুলে, তাদের সহায়তায় নানা ধরণের অপকর্ম করে আসছে।
গত ২৪ এপ্রিল বেলা ২টায় রাশেদার ঘরে অসামজিক কর্মকান্ড চলার সময় স্থানীয়দের সাথে আমি সাপমারা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ গ্রামের মৃত ছালামত আলীর পুত্র ইব্রাহীম আলীকে হাতে নাতে আটক করি। বিষয়টি জানতে পেরে রাশেদার পক্ষ নিয়ে সাপগাছি হাতিয়াদহ বালুয়াপাড়া গ্রামের মৃত হযরত আলী পুত্র বকুল মিয়া, সাজাদ্দুল ইসলাম সাদ্দাম, আবুল হোসেনের পুত্র রশিদুল ইসলাম, মৃত আলম মিয়ার পুত্র আমিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে জোড়পূর্বক ইব্রাহীম আলীকে ছিনিয়ে নেয় এবং আমাকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন হুমকী ধামকী দেয়। এ ঘটনায় তাদের বাক বিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে সেখান থেকে বাড়ী চলে যাই। এরপর ওই ব্যক্তিরা আরো ৬/৭ জনকে সাথে নিয়ে আমার বসতবাড়ীর চালের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং গেট ভেঙ্গে ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে।
এমতাবস্থায় জীবনের নিরাপত্তার জন্য ৯৯৯ নম্বরে কল করে সাহায্য চাইলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর থেকে বকুল ও তার লোকজন হারেজ ডাক্তারকে প্রাণনাশসহ মিথ্যামামলায় ফাঁসানোর হুমকী দিচ্ছে। এমতাবস্থায় নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে হারেজ ও তার পরিবারের লোকজন। এ ব্যাপারে আইনি সহায়তা ও নিরাপত্তা দাবী তার।
দরবস্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ মাষ্টার বলেন, ওই মহিলার বাড়ী রহলায়। তার চারিত্রিক চরিত্র খারাপ হওয়ার কারণে সেখানে থাকতে পারেনি। চন্ডিপুর এসে আবার নানা ধরণের অপকর্ম শুরু করেছেন। এধরণের লোকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানার এস আই রুবেল বলেন, তদন্তের সময় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তার পরে শান্তি শৃংখলা রক্ষার্থে উভয়পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছে।