- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ৮-৪-২০২৩, সময়ঃ সকাল ১০:০৮
গাইবান্ধায় ৪১ জন ভূমি সহকারিসহ ৮১টি উপ-সহকারী কর্মকর্তার পদশূন্য
বিশেষ প্রতিবেদক ►
গাইবান্ধার ৭ উপজেলায় ৬৩টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ৪১ জন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা ও ৮১টি উপ-সহকারি কর্মকর্তার পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। চাহিদার চেয়ে জনবল কম থাকায় একদিকে যেমন ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোতে ভূমি সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দূর দুরান্ত থেকে আসা ভূমি সেবা গ্রহীতাদের তেমনি অন্যদিকে ব্যহত হচ্ছে ভূমিসেবা কার্যক্রমও।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের রাজস্ব শাখা সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা সদর উপজেলাসহ সুন্দরগঞ্জ, সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জ, সাঘাট ও ফুলছড়ি উপজেলায় ৬৩টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সহকারি ও উপ-সহকারি কর্মকর্তার বেশির ভাগ পদ শূন্য রয়েছে। ওইসব ভূমি অফিসে ইউনিয়ন ভূমি সহকারি ও উপ-সহকারির মঞ্জুরিকৃত পদের সংখ্যা যথাক্রমে ৬৩ এবং ১২৬টি। বর্তমানে সহকারি কর্মকর্তা ও উপ-সহকারী কর্মকর্তা রয়েছেন যথাক্রমে ১৪ ও ৪৫ জন। অর্থাৎ মোট ১২২টি পদ শূন্য রয়েছে ।
কর্মরত কর্মকর্তার চাইতে শূন্য পদের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি। ফলে ৬৩টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে মূল কর্মকর্তা ভূমি সহকারির স্থলে উপ-সহকারী কর্মকর্তা ও উপ-সহকারি কর্মকর্তার স্থলে ভূমি সহকারি কর্মকর্তা দীর্ঘদিন যাবৎ একাই নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি অতিরিক্ত মূল দায়িত্ব পালন করছেন।
অন্যদিকে গাইবান্ধা সেটেলমেন্ট অফিসের চিত্রও অনুরূপ। সেটেলমেন্ট অফিসের পেশকার রেজাউল করিম জানান, জেলার ৭টি উপজেলার মধ্যে গাইবান্ধা সদর, পলাশবাড়ী, সাদুল্যাপুর, সাঘাটা, গোবিন্দগঞ্জ ৫টির দায়িত্বে রয়েছেন রংপুর গংগাচড়ার সহকারি সেটেলমেন্ট অফিসার (এএসও) ফজলুর রহমান। তিনি একই সাথে রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলায় দায়িত্ব পালন করছেন। এখনও তার অধীন কয়েকটি মৌজার জরিপ কাজ বাকি আছে। এতে করে জেলার ভূমি সংশ্লিষ্ট অফিসগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারির সংখ্যা কম থাকায় জনগণের যেমন ভোগান্তি হচ্ছে, তেমনি সরকারের ভূমিসেবা কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে।
ভূমি সেবা গ্রহীতা ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের আতিকুর রহমান বলেন, লোকবলের অভাবে ভূমিসেবা কার্যক্রম ভেস্তে যেতে বসেছে। দ্রুত এসব পদে লোক নিয়োগ দিলে মানুষের ভোগান্তি কমবে।
এ প্রসঙ্গে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো: অলিউর রহমান বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন জনগণের দোরগোড়ায় ভূমি সেবা পৌঁছে দেয়া। যাতে মানুষ সহজে ভূমি সেবা গ্রহণ করতে পারে। কর্মরত জনবল অর্থাৎ সার্ভিস প্রোভাইডারের অভাবে অনেক সময় আমাদের সঠিক সময়ে যে ভূমি সেবা দেয়া প্রয়োজন। তা অনেক সময় কষ্টসাধ্য হয়। প্রয়োজনীয় জনবল চেয়ে কর্তৃপকে জানিয়েছি। যথাযথভাবে এই শূন্য স্থানে লোক পদায়ন করা হয়, তাহলে ভূমিসেবা মানুষের দৌড়গোড়ায় সেবা নিয়ে যাওয়ার সরকারের যে ভিশন তা বাস্তবায়িত হবে।