নিজস্ব প্রতিবেদক►

জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার আহবান জানিয়ে গাইবান্ধায় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাইলেন সংস্কৃতিকর্মীরা।

আজ (শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে গাইবান্ধা পৌরপার্কে ‘পথে নামো, কণ্ঠে ধরো- আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ স্লোগানে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। 

বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিকর্মীরা ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা গলা মিলিয়ে জাতীয় সংগীত উচ্চারণ করেন।

আয়োজনের শুরুতে বক্তব্য দেন শিক্ষাবিদ মাজহারউল মান্নান ও উদীচীর জেলা সভাপতি অধ্যাপক জহুরুল কাইয়ুম। 

বক্তারা বলেন, জাতীয় সংগীতকে ঘিরে বাংলা ও বাঙালীর শেকড়ের নিবিড় সম্পর্ক জড়িয়ে আছে। সেই শেকড় নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করে তাদের পরিচয় জাতির কাছে স্পষ্ট। কিন্তু এমন কোনো ষড়যন্ত্র বাঙালী মেনে নেবে না।

উপস্থিত সংস্কৃতিকর্মীরা বলেন, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব খবর দেখছি, তা আতংকের। আমাদের জাতীয় সংগীতের ওপর কোনো আঘাত সহ্য করা হবে না। 

প্রসঙ্গত, গেল মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবি জানান। এরপরই এই প্রসঙ্গটি জোরালো হয়ে ওঠে।

নিজস্ব প্রতিবেদক►

ঢাকার শাহবাগে জাতীয় সংগীতের অবমাননা করার অভিযোগে গাইবান্ধায় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়েছেন বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আজ (শুক্রবার, ১৬ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গাইবান্ধা পৌর শহীদ মিনার চত্বরে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেন। 

এতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র আন্দোলনসহ বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

আয়োজকেরা জানান, গত ১০ মে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ চলাকালে কয়েকজনকে জাতীয় সংগীত গাইতে বাধা দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে তাঁরা সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার এ আয়োজন করেন। 

জাতীয় সংগীত পরিবেশন শেষে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক মৈত্রেয় হাসান জয়িতা বলেন, জাতীয় সংগীত আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে যুক্ত। কিছুদিন আগে শাহবাগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনের সময় জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে সারা দেশে যেভাবে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হচ্ছে, তারই ধারাবাহিকতায় গাইবান্ধায় আমরা এ আয়োজন করেছি। 

একটি স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের ইন্ধনে জাতীয় সংগীত নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে যদি এখনও মুক্তিযুদ্ধকে আঘাত করা হয় তাহলে রাজনৈতিক মত নির্বিশেষে মানুষ এখনও প্রতিরোধ করতে জানে; এই কর্মসূচি থেকে তাদের আমরা এই বার্তাও দিতে চাই।