- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ১৯-২-২০২৩, সময়ঃ দুপুর ০২:২৫
গাইবান্ধায় শিব চতুর্দশী তিথি পালিত
নিজস্ব প্রতিবেদক ►
ভগবান দেবাদিদেব মহাদেব (শিব)লিঙ্গ রুপে আবির্ভূত হওয়ায় প্রতিবছর ফাল্গুন মাসের প্রথম সপ্তাহের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে গাইবান্ধা সহ সারাদেশে শ্রী শ্রী মহাশিবরাত্রি ব্রত বা চতুর্দশী তিথি পালন হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে শহরের ব্রীজরোড দূর্গাবাড়ীর শিবমন্দির, ভিএইড রোড কালিবাড়ী মন্দির সহ বিভিন্ন মন্দিরে ভগবান শিবের শিবলিঙ্গতে বিভিন্ন বয়সী নারীরা তাদের সংসার সহ স্বামীর মঙ্গল কামনায় ও পুরুষরা তাদের পরিবারের সদস্যদের মঙ্গল কামনা ও ভাল সহধর্মিণী পাবার প্রত্যাশায় এই শিবরাত্রি বা চতুর্দশী তিথিতে মহাদেবের লিঙ্গর মাথায় বিভিন্ন উপাচারে দুধ, জল, ঘি ও ফল নিবেদন করেন। এতে করে অর্ধ শতাধিক শিব ভক্ত নারী- পুরুষ এর পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে মন্দির প্রাঙ্গন। মন্ত্র পাঠের মধ্য দিয়ে হাত জোড় করে ভগবানের নিকট তারা তাদের প্রার্থনা জানান। মন্ত্র পাঠ করান ব্রীজরোড দূর্গাবাড়ী মন্দির এর পুরোহিত দিলীপ চক্রবর্তী।
১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাত ৮টা ২ মিনিটে শুরু হয়ে পরের দিন ১৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকেল ৪টা ১৮ মিনিটে এই তিথি সমাপ্ত হবে। মহাশিবরাত্রিতে চার প্রহরে পুজো করা হয়। "শিবরাত্রি ব্রত পালনকারী 'সুস্মিতা সাহা শ্যামা" বলেন-সংসার ও স্বামীর মঙ্গল কামনায় তারা এই ব্রত পালন করছেন।
"শিবরাত্রি ব্রত পালনকারী মৌসুমি সরকার" জানান- মহাদিদেব শিব হচ্ছে ভগবান। আমরা আমাদের সংসার, স্বামী ও সন্তানের মঙ্গল কামনায় সারাদিন উপবাস থেকে শিবের মাথায় দুধ, জল, ঘি ও ফল নিবেদন শেষে প্রসাদ খেয়ে উপবাস ভাঙ্গি।
উল্লেখ্য, ভগবান শিব ফাল্গুন মাসের প্রথম সপ্তাহের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে শিবলিঙ্গ রূপে আবির্ভূত হন। এই কারণে, এই তারিখটি প্রতি বছর মহাশিব রাত্রি হিসাবে পালন করা হয়। শিব পুরাণ অনুসারে, শিবের নিরাকার রূপের প্রতীক লিঙ্গ শিবরাত্রির শুভ তিথিতে আবির্ভূত হয়েছিল এবং ব্রহ্মা ও বিষ্ণু দ্বারা প্রথম পুজো হয়েছিল।
সনাতন ধর্মে মহাশিবরাত্রির বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। শিব-পার্বতীর বিবাহ উৎসবই মহাশিবরাত্রি হিসেবে পালিত হয়। প্রতিমাসে শিবরাত্রি তিথি থাকলেও, ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথি মহাশিবরাত্রি নামে পরিচিত।