- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ১৯-১১-২০২৩, সময়ঃ রাত ০৮:৪৪
গাইবান্ধায় বাসদ (মার্কসবাদী)’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
নিজস্ব প্রতিবেদক►
রুশ বিপ্লব বার্ষিকী ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ (মার্কসবাদী)’র ৪৩ তম প্রতিষ্ঠবার্ষিকী উপলক্ষে গাইবান্ধায় লালপতাকা মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। এ উপলক্ষে রবিবার (১৯ নভেম্বর) সকালে শহরে লাল পতাকা মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পৌর শহীদ মিনার চত্বরে সমাবেশে মিলিত হয়।
বাসদ (মার্কসবাদী)’র জেলা আহ্বায়ক কমরেড আহসানুল হাবিব সাঈদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা কমিটির সদস্য গোলাম ছাদেক লেবু, নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, কাজী আবু রাহেন শফিউল্লাহ, মাহবুবুর রহমান খোকা প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের দুঃশাসন, সীমাহীন দুর্নীতি-লুটপাট ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে মানুষ অসহনীয় কষ্টে দিনযাপন করছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ, সভা সমাবেশে বিনা উসকানিতে পুলিশের হামলা, গ্রেফতার, গুম, খুনের মাধ্যমে দেশে চূড়ান্ত ভীতির পরিবেশ তৈরি করেছে এই অগণতান্ত্রিক সরকার। এই সুযোগে উন্নয়নের নামে মেগা প্রজেক্ট গ্রহণ করে মেগা লুটপাটের সুযোগ করে দিচ্ছে সরকার। লুটপাটের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আরও একটা প্রহসনের একতরফা নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে ক্ষমতায় আসতে চায় আওয়ামী লীগ। এদের হাত থেকে বাঁচতে বামপন্থীদের নেতৃত্বে ব্যাপক গণআন্দোলন গড়ে তুলে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ১০৬ বছর আগে পৃথীবীর বুকে সর্বহারা শ্রেণী মার্কসবাদ-লেনিনবাদের শিক্ষায় বিপ্লবের মাধ্যমে যে নতুন সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিল তার তুলনা নেই । ১৯১৭ সালের ৭ নভেম্বর বিপ্লবের তাৎপর্য কেবলমাত্র রাশিয়ার মাটিতে সীমাবদ্ধ ছিলো না, দুনিয়ার দেশে দেশে শ্রমজীবি মানুষের কাছে এনেছিলো মানবমুক্তির এক নতুন বার্তা। শ্রমিক শ্রেনীর যে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো সোভিয়েত ইউনিয়নে সেই সমাজতান্ত্রিক দেশ মানুষ কে সকল ধরনের নিরাপত্তা দিয়েছিলো।সেখানে ছিলো না কোন ভিক্ষুক,বেকার,পতিতা।সবার জন্য শিক্ষা ও চিকিৎসা ছিলো বিনামূল্যে। নারীরা পেয়েছিলো প্রকৃত মর্যাদা ও স্বাধীনতা।
মহান লেনিনের নেতৃত্বে নভেম্বর বিপ্লবের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় এমন এক সমাজ যেখানে দারিদ্র ও ক্ষুধা নেই। নেই বেকারত্ব ও অশিক্ষা, নেই ভিক্ষা ও পতিতাবৃত্তি। সাম্রাজ্যবাদীদের যুদ্ধ চক্রান্তের বিপরীতে মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছিলো এই সমাজতন্ত্র। এর নেতৃত্বে গড়ে উঠেছিলো যুদ্ধবিরোধী শান্তিশিবির । এককভাবে সোভিয়েত সমাজতন্ত্রের এই অভূতপূর্ব সাফল্য ও অগ্রগতির পরও তার পতন ঘটে । কিন্ত তা স্বত্বেও এর শিক্ষা মার্কর্সবাদ লেনিনবাদের সেই দৃঢ় ও উন্নত উপলব্ধি কমরেড শিবদাস ঘোষের চিন্তাধারাকে প্রয়োগ করে বাংলাদেশের মাটিতে শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিয়োজিত আমাদের মহান পার্টি বাসদ (মার্কসবাদী)’র এই গ্রামকে এগিয়ে নিতে দেশের সকল শ্রমজীবী মেহনতী মানুষ ও গণতন্ত্রমনা মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।