- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ১-১-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৩:৪৩
গাইবান্ধায় আগাম আলুর বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা
দারিয়াপুর সংবাদদাতা ►
গাইবান্ধায় আগাম জাতের আলু চাষ করে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। আগাম জাতের আলু চাষে লাভ হওয়ায় সম্ভাবনাময় কৃষকরা কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে। প্রতি বছর আগাম জাতের আলু চাষ করে লাভবান হওয়ায় গত বছরের তুলনায় বেশি জমিতে আলু চাষ করেছে জেলার কৃষকরা।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রত্যেকটি কৃষক আলু চাষ করে অধিক মুনাফা লাভ করতে পারবে। এ বছর ১০ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উফশী জাতের আলুর চাষ হয়েছে ৭ হাজার ৫১০ হেক্টর ও দেশি জাতের আলু ৭৫০ হেক্টরসহ ৮ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯.৮১ মেট্রিকটন।
গত বছরের তুলনায় জেলার সকল ইউনিয়নের জমিতে বেশি পরিমাণ আগাম আলু উৎপাদন হবে বলে মনে করছেন কৃষি বিভাগ। এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় এবং আলুর বীজ ভালো পাওয়ায় খুশি মনে আলু চাষে ঝুঁকে নিয়েছে কৃষকরা।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার দারিয়াপুরের কৃষক দোলন জানান, এবার ২ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। দারিয়াপুর হাট থেকে বীজ কিনে বীজের মান ভালো পেয়েছি। আমার বীজের কোনো সমস্যা নেই। তবে আবহাওয়া ভালো থাকলে গত বছরের তুলনায় এবার বেশি লাভের আশা।
তবে তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের অধিক পরিমাণ বীজ বাজারে কিনতে হয়। কিন্তু গাইবান্ধায় কোনো হিমাগার না থাকায় আমাদের প্রতি বছর ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাই গাইবান্ধায় ১টি হিমাগার হলে আলু সংরক্ষণে কৃষকরা আলু চাষ করে স্বস্তি পেত।
অপরদিকে আলু চাষের জন্য উপজেলার কৃষি বিভাগ থেকে যথেষ্ট পরিমাণ সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য প্রতিদিন গাইবান্ধা সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে উপজেলা সহকারী কর্মকর্তারা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষি পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোনো প্রকার ক্ষতি না হলে গাইবান্ধা জেলায় আলুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। জেলার আলু চাষিরা যেভাবে আলু চাষে ঝুঁকে পড়েছে তাতে গাইবান্ধা জেলার মানুষের আলুর চাহিদা পূরণ করেও দেশের বিভিন্ন জেলায় কয়েক হাজার টন আলু রফতানি করতে পারবে।